ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বুধবার ৫ নভেম্বর ২০২৫ ২০ কার্তিক ১৪৩২
কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দারাজের
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Wednesday, 28 February, 2024, 12:14 AM

কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দারাজের

কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দারাজের

ব্যয় সংকোচনের কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ই-কমার্স জায়ান্টটি কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া অভ্যন্তরীণ এক বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছে। দারাজ বাংলাদেশের কর্মীদেরকেও তা পাঠানো হয়েছে।

দারাজ গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সিইও জেমস ডং এর পাঠানো ‘মেসেজ ফ্রম দারাজ লিডারশিপ’ শিরোনামের ওই বার্তায় বলা হয়, “প্রিয় দারাজিয়ান। অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে দারাজের ব্যবস্থাপনা দল ও আমি আপনাদেরকে এক কঠিন খবর দিচ্ছি।

“অনেক বিচার বিবেচনার পর আমরা আরও কার্যকর ও সাবলীল একটি কর্মী কাঠামো দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাদেরকে দারাজ পরিবারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে বিদায় জানাতে হচ্ছে।“

তবে কতজন ছাঁটাইয়ের মধ্যে পড়বেন এবং কত সময়ের মধ্যে তাদেরকে বাদ দেওয়া হবে তা অভ্যন্তরীণ ওই বার্তায় বলা হয়নি। তবে বাংলাদেশে ছাঁটাইয়ের এ সংখ্যা বড় হতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। দারাজ বাংলাদেশের কর্মী সংখ্যা সাতশ এর আশপাশে।

বাংলাদেশে দারাজের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ছাঁটাইয়ের বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। মূল কোম্পানির বার্তাটিই দারাজ বাংলাদেশের বার্তা বলে জানিয়ে দেন তারা।

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন পণ্যের এই মার্কেটপ্লেস দেশজুড়ে তাদের কার্যক্রমের বিস্তার ঘটিয়েছে। এরমধ্যেই কর্মী কমানো ও ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটার ঘোষণা এল।

দারাজ বাংলাদেশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরাও পরিষ্কার নই। তবে দারাজ বাংলাদেশের শ্রম আইন মেনে যাকে যেভাবে বিদায় করা যায় সেভাবেই করবে।

“যার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে কেবল তাকেই জানিয়ে দেওয়া হবে। ক্যারিয়ার ও অন্যান্য কারণ প্রকাশ্যে আনা হবে না। কত সময়ের মধ্যে কতজনকে বিদায় করা হবে সেটি পরিষ্কার নয়।”

মূল বার্তায় বলা হয়, “গত কয়েক বছর ধরে আমরা ব্যয় কমিয়ে পরিচালন দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। বিকল্প সমাধানের চেষ্টা করেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে যাচ্ছিল। বাজারে এই ধরনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে গিয়ে কোম্পানির টেকসই ভবিষ্যত ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আমাদেরকে ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।“

২০১২ সালে পাকিস্তানে একটি ছোটখাটো অনলাইন ফ্যাশন আউটলেট হিসেবে যাত্রা শুরু করে দারাজ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ করে। পরের বছর আরেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস কিইমু অধীগ্রহণের মাধ্যমে নেপাল ও শ্রীলংকায় ব্যবসা সম্প্রসারণ ঘটায় কোম্পানিটি।

২০১৮ সালে চীনের আন্তর্জাতিক ই-কমার্স মার্কেট প্লেস আলিবাবার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর দারাজের সম্প্রসারণ আরও বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে দারাজ লাজিস্টিকস ব্যবসার দিকেও এগোয়।

২০২১ সালে কোভিড মহামারীকালে লকডাউন চলার সময়ে বাংলাদেশে তৈরি করা খাবার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কোম্পানি হাংরিনাকিকেও কিনে নেয় দারাজ।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status