ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ ১ চৈত্র ১৪৩১
হুথিরা কতটা শক্তিশালী?
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Monday, 5 February, 2024, 9:56 AM

হুথিরা কতটা শক্তিশালী?

হুথিরা কতটা শক্তিশালী?

ইরান সমর্থিত হুথিরা ইয়েমেনে গত নভেম্বর থেকে সাগরপথে পণ্য পরিবহনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। এখন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপর পাল্টা হামলা করছে।


ইউএস মিলিটারি সেন্ট্রাল কমান্ডের হিসেবে, গত ১৯শে নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা দক্ষিণ লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের মধ্যে পণ্য পরিবহনকারী জাহাজগুলোতে অন্তত ২৬টি হামলা করেছে।

হুথিদের দাবি, এ হামলাগুলো তারা করেছে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে। তারা বলছে, যে সমস্ত জাহাজের সঙ্গে  ইসরাইলের সম্পর্ক আছে তারা সেসব জাহাজকেই লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।

ইরান সমর্থিত হুথিরা ২০১৪ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে ইয়েমেনের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। যার মধ্যে আছে রাজধানী সানা, দেশটির উত্তর অংশ এবং লোহিত সাগরের উপকূল অঞ্চল।

আর এটাই তাদের লোহিত সাগরের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত বাব আল-মান্দেব প্রণালির নিয়ন্ত্রণ দেয়, যা ইউরোপের সঙ্গে এশিয়ার যোগাযোগের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথ এবং এটি তাদের অস্ত্রের আওতার ভেতরে।

লোহিত সাগরে জাহাজে হুথিদের সাম্প্রতিক হামলায় দেখা গেছে তারা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক মিসাইল, ড্রোন (ইউএভি) ও চালকবিহীন জাহাজ (ইউএসভিস) ব্যবহার করেছে।

এছাড়া শুরুর দিকে হামলায় দেখা যায় হুথিরা ছোট ছোট নৌকা বা হেলিকপ্টার নিয়ে বড় জাহাজে উঠে পড়ছে ও সেটা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।

দ্য ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসি বলছে, বিভিন্ন ধরনের জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে হুথিদের, যেগুলো ৮০ কিলোমিটার থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। এর মধ্যে আছে সায়াদ এবং সেজ্জিল মিসাইল।

এই থিঙ্কট্যাঙ্ক মনে করে হুথি গোষ্ঠীর কাছে এমন জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক মিসাইলও আছে যা ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

সমুদ্রের ইতিহাসবিদ সাল মারকোগলিয়ানো বিবিসিকে বলেন, ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ এই দুই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রই ড্রোনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, কারণ তাদের সঙ্গে বড় যুদ্ধাস্ত্র থাকে এবং আরও বেশি গতিশক্তি থাকে।

মারকোগলিয়ানো বলেন, একমুখী ড্রোনগুলো সংখ্যায় অসংখ্য কারণ এগুলো খুবই সস্তা এবং সহজেই ব্যবহার করা যায়, তবে একটু ধীরগতির।

এই ড্রোনগুলো ঠিক পানির উপর জাহাজের ভেসে থাকা জায়গা বরাবর আঘাত করে এবং তা থেকে আগুন ধরে যাওয়াটা হল সবচেয়ে দুশ্চিন্তার।

তবে মারকোগলিয়ানোর বিশ্বাস ‘সবচেয়ে ভয়ের’ হল ইউএসভিস বা চালকবিহীন জাহাজ, কারণ এটি পানির উপরে জাহাজে আঘাত করে, যার মাধ্যমে এটি ফুটো হয়ে ভেতরে পানি ঢোকে এবং জাহাজটি ডুবে যায়।

ইউএস নেভি বলছে চলমান সংঘাতে হুথিরা প্রথম এই চালকবিহীন জাহাজটি বিস্ফোরণ সহকারে ব্যবহার করে গত ৪ই জানুয়ারি এবং সেটি জাহাজ চলাচলের আন্তর্জাতিক লেনে এসে বিস্ফোরিত হয়।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status