বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ পাথরঘাটার ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে
ইব্রাহীম খলীল, পাথরঘাটা
|
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। এতে এফবি নিশাত নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও ২০টি ট্রলারসহ প্রায় ২৫০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার আঃ ছালাম মিয়ার মালিকানাধীন এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার দমকা হাওয়ায় উল্টে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়া পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ প্রায় ২৫০ জেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজ ট্রলারের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ স্টেশনে কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনকে জানানো হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সকাল ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |