ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ৫ অক্টোবর ২০২৪ ২০ আশ্বিন ১৪৩১
ভারতের সাফল্যে নড়েচড়ে বসল স্পারসো, মহাকাশ গবেষণায় বড় পদক্ষেপ বাংলাদেশের?
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Saturday, 26 August, 2023, 11:14 AM
সর্বশেষ আপডেট: Saturday, 26 August, 2023, 12:01 PM

ভারতের সাফল্যে নড়েচড়ে বসল স্পারসো, মহাকাশ গবেষণায় বড় পদক্ষেপ বাংলাদেশের?

ভারতের সাফল্যে নড়েচড়ে বসল স্পারসো, মহাকাশ গবেষণায় বড় পদক্ষেপ বাংলাদেশের?

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান–৩। সেখানে নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছে ‘প্রজ্ঞান’। এই সময়েই, বাংলাদেশে প্রশ্ন উঠেছে, কী করছে স্পারসো? প্রায় ৪২ বছর আগে তৈরি হয় বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো)।

স্পারসো স্থাপিত হওয়ার পরে, ২০১৮ সালের ১২ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু–১। ওই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান ও রকেট প্রস্তুতকারক এবং উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। স্পারসো বাংলাদেশের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা হলেও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সঙ্গে এর কোনও অংশগ্রহণ ছিল না।

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রযুক্তি প্রোগ্রাম থাকতে হয়। সেটা নেই স্পারসোতে। এছাড়া স্পারসোর মহাকাশ উৎক্ষেপণ স্টেশন, কক্ষপথ, নিজস্ব স্যাটেলাইট এবং এই সংক্রান্ত প্রযুক্তি সম্পর্কিত গবেষণাগারও নেই। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরা জানিয়েছেন, বিদেশি অনুদানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকা সাধারণ মানের একটি গ্রাউন্ড স্টেশন ছাড়া বাংলাদেশে মহাকাশ প্রযুক্তির পরিকাঠামো নেই।

তাই প্রতিষ্ঠার ৪২ বছরেও স্পারসো সত্যিকারের একটি জাতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। যদিও স্পারসোর লক্ষ্য, মহাকাশবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখা। জানা গেছে, ২০২০ সালে মহাকাশ প্রযুক্তি বিকাশ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে স্পারসোর উন্নয়নের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে স্পারসো।

বাংলাদেশের সরকার যে চিন্তাভাবনা করেছে সেই অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়ন করা হবে। জানা গেছে, স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে দুটি স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন এবং বাংলাদেশের উপযোগী ভূ–পর্যবেক্ষণ উপগ্রহের উন্নয়ন ও কক্ষপথে স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করা। কিন্তু এই কাজ কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন স্পারসোর চেয়ারম্যান মো. আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, 'স্পারসোর চ্যালেঞ্জ এবং সীমাবদ্ধতা আছে। তা সত্ত্বেও চেষ্টা করছি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এবং এগিয়ে যাওয়ার।' স্পারসোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান জাফরউল্লাহ খান বলেন, 'আমরা যে মহাকাশ গবেষণায় পিছিয়ে আছি, সেটাতে জোর দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারকে বিনিয়োগ প্রকল্প নিতে হবে।'

এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা এবং উপযুক্ত সংখ্যক বৈজ্ঞানিক এবং গবেষকও নেই। ফলে সেখানে গবেষণাও ঠিকমত হচ্ছে না। জাফরউল্লাহ খান এবং অন্যরা বলেন, 'যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত করতে হলে সরকারকে বিনিয়োগ করতে হবে। এই সঙ্গেই দক্ষ ব্যক্তি এবং গবেষকদেরও নিয়োগ করতে হবে। তা না হলে স্পারসো শুধু নামেই থেকে যাবে।'

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status