|
তিতাস গ্যাসের লাইনে ছিদ্র, বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ, রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() তিতাস গ্যাসের লাইনে ছিদ্র, বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ, রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আজ সোমবার রাত ১১টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে এ খবর আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে রাজধানীর মগবাজার, রামপুরা, দিলু রোড, মহাখালী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্যাসের চুলা না জ্বালানো এবং দেশলাই না জ্বালানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। অনেকে অভিযোগ করেছেন, তিতাসের জরুরি যোগাযোগের নম্বরে ফোন করে সংযোগ পাননি। গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রথম আসে রামপুরা থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, রামপুরার মোল্লাবাড়ি, রামপুরা বাজার ও তালতলা এলাকার রাস্তায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রাত ১১টার দিকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছেন। আমরা বিষয়টি তিতাসকে জানিয়েছি। তিতাসের লোকজন এসে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’ মহাখালীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি থানা–পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে জানিয়েছেন। তারা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছে। কিন্তু তিতাসে জানাতে পারছেন না। ঘটনাটি কী ঘটেছে সে বিষয়ে জানতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়। তিতাসের গুলশান টিমের সুপারভাইজার আরিফ হোসেন বলেন, ‘গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা চাপ কমিয়ে দিয়েছি। ধীরে ধীরে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হচ্ছে, আতঙ্কিত এলাকাবাসী শতাধিক ফোনকল করেছেন। তাঁদের ধৈর্য ধারণ করে, আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার আনিসুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘পাইপ লিকেজ হওয়া এলাকাগুলো হলো— মতিঝিল, আরামবাগ, মগবাজার, বাড্ডা, বাসাবো, মুগদা নাখালপাড়া, হাজারীবাগসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকা। ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এলাকায় মাইকিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেউ যেন অকারণে লিকেজের আশপাশে আগুন না জ্বালায়।’ তিতাস গ্যাস সূত্র বলছে, ঢাকায় ৬০ শতাংশ এলাকায় তিতাস গ্যাস পাইপলাইনে ছিদ্র ধরা পড়েছে। ঢাকা মহানগর রাজস্ব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম, রাজস্ব) মো. রশীদুল আলম জানান, বনানীতে তিতাসের স্টাফ কোয়ার্টার থেকেও পাইপলাইনের ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বের হওয়ার অভিযোগ আসছে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
