|
যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় প্রধান উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত গ্রেফতার
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় প্রধান উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত গ্রেফতার ডিজি বলেন, অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দর্শকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা থেকেই এই অশান্তির সূত্রপাত। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে দর্শকদের টিকিটের টাকা রিফান্ড সংক্রান্ত দাবিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে এবং কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা চলবে। এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় এবং তদন্তেই সব স্পষ্ট হবে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) মেসি যুবভারতী ছাড়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দর্শকদের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারি থেকে মাঠ পর্যন্ত। গ্যালারির অসংখ্য চেয়ার ভাঙচুর করা হয়, শৌচাগার ও খেলোয়াড়দের টানেলেও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়। মাঠের পাশে থাকা তাঁবু ও একাধিক সোফায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মূলত মেসিকে কাছ থেকে দেখতে না পাওয়াতেই দর্শকদের মধ্যে এই ক্ষোভের জন্ম। সংবাদমাধ্যমের সামনে অনেক সমর্থক অভিযোগ করেন, আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণেই তাদের হতাশ হতে হয়েছে। মেসির ভক্তরা বলেছেন, শতদ্রু দত্ত সাধারণ মানুষের আবেগ নিয়ে খেলেছেন। মধ্যবিত্ত দর্শকরা কষ্ট করে টাকা জোগাড় করলেও মাঠে বসে মেসিকে একবারও ঠিকভাবে দেখতে পাননি। অথচ সেই সুযোগ পেয়েছেন রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টরা। এক দর্শক দাবি করেন, এই ঘটনায় প্রতারণা করা হয়েছে এবং অবিলম্বে শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করা উচিত। তার মতে, মেসি মাঠে কিছুক্ষণ সময় কাটাবেন এবং দর্শকদের সামনে ঘুরবেন—এই প্রত্যাশাই পূরণ হয়নি। তিনি একে ২০২৫ সালের অন্যতম বড় কেলেঙ্কারি বলেও মন্তব্য করেন। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা করেন। এক্স (টুইটার)-এ তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সদস্য থাকবেন। কমিটি ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে দায় নির্ধারণ করবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে। একই সঙ্গে তিনি ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, মেসি যুবভারতীতে পৌঁছনোর পর প্রায় ৭০–৮০ জন ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরেন। অভিযোগ, মূলত মন্ত্রী ও কর্তারা ছবি তোলার জন্য তাকে ঘিরে রাখায় তিনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটার সুযোগও পাননি। ফলে গ্যালারি থেকে সাধারণ দর্শকরা তাকে দেখতেই পাননি, যা থেকেই অসন্তোষ চরমে পৌঁছায়। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
