|
চট্টগ্রামে নির্বাচনি প্রচারণায় গুলিতে নিহত ১, বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ হাসপাতালে
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() চট্টগ্রামে নির্বাচনি প্রচারণায় গুলিতে নিহত ১, বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ হাসপাতালে নিহত সারোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, ইদানিং তিনি নিজেকে বিএনপি কর্মী দাবি করতেন। আর গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শান্ত ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক। বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চালিতাতলী পূর্ব মসজিদের কাছে তারা তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের অনন্যা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সরোয়ারের মৃত্যু হয় বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আমীরুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, “এরশাদ উল্লাহ সাহেব নির্বাচনী প্রচারে চালিতাতলী এলাকায় এসেছিলেন। সেখানে সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।” চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত এক নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া এরশাদ উল্লাহ জনসংযোগের জন্য চালিতাতলী এলাকায় গিয়েছিলেন। “চালিতাতলী পূর্ব মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হয়ে জনসংযোগ করার সময় সরোয়ার বাবলাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এসময় পাশে থাকা এরশাদ উল্লাহ ও শান্ত গুলিবিদ্ধ হন।” ![]() চট্টগ্রামে নির্বাচনি প্রচারণায় গুলিতে নিহত ১, বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ হাসপাতালে এটি বিএনপি বা সহযোগী সংগঠনগুলোর ‘নিজেদের মধ্যে কোনো ঘটনা নয়’ বলে ওই বিএনপি কর্মীর দাবি। এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। এর মধ্যে এ ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।” তিনি বলেন, “যারা রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে এ ঘটনায় তাদের হাত থাকতে পারে।” আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারের মধ্যে এই প্রথম কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটল। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
