|
পিস্ট্যানথ্রোফোবিয়া কী? জানুন উপসর্গ ও করণীয়
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() পিস্ট্যানথ্রোফোবিয়া কী? জানুন উপসর্গ ও করণীয় মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, অতীতের বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা বা মানসিক আঘাত থেকে এই ভয় জন্ম নিতে পারে। একবার কেউ সম্পর্কের মধ্যে প্রতারিত হলে তার মনে একটি স্থায়ী সন্দেহ জন্মায়। ‘আবার যদি একই ঘটনা ঘটে?’ এই ভয়ই পরবর্তীতে নতুন কাউকে বিশ্বাস করতে বাধা দেয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের আচরণে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। তারা নতুন সম্পর্কে জড়াতে অনিচ্ছুক, কারো কাছে গেলে অস্বস্তি বোধ করেন, নতুন মানুষদের প্রতি অযৌক্তিক সন্দেহ পোষণ করেন, ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলেন বা কথোপকথনে দূরত্ব বজায় রাখেন। এমনকি নিজের আবেগ প্রকাশ করতে ভয় পান, যেন আবার কষ্ট না পেতে হয়। যদিও ‘পিস্ট্যানথ্রোফোবিয়া’ এখনও চিকিৎসাবিজ্ঞানের অফিসিয়াল মানসিক রোগের তালিকায় নেই, তবু দীর্ঘ সময় ধরে যদি এই ভয়, উদ্বেগ বা এড়িয়ে চলার প্রবণতা থাকে এবং এটি দৈনন্দিন জীবন ও সম্পর্ককে প্রভাবিত করে, তাহলে মনোবিদ বা থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া উচিত। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে ব্যক্তি নিজের ভয় চেনেন এবং তা মোকাবিলা করতে শেখেন। প্রয়োজন হলে উদ্বেগ বা হতাশা কমাতে ওষুধও দেওয়া হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পিস্ট্যানথ্রোফোবিয়া কোনো দুর্বলতার পরিচায়ক নয়; এটি এক ধরনের মানসিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা অতীতের আঘাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে চায়। তবে যদি এই ভয় জীবনে সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তা ভাঙার চেষ্টা করা জরুরি। নিজের অনুভূতি খোলাখুলি আলোচনা করা, বন্ধু বা পরিবারের সমর্থন নেওয়া এবং থেরাপির মাধ্যমে ধীরে ধীরে আবার বিশ্বাস গড়ে তোলা এই সব মিলিয়ে ভয়কে জয় করা সম্ভব। বিশ্বাস হারানো কষ্টদায়ক, কিন্তু পুনরুদ্ধার অসম্ভব নয়। সময়, ধৈর্য এবং সঠিক মানসিক সহায়তা দিয়ে আবার ভালোবাসায় ভরসা ফিরে পাওয়া সম্ভব। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
