|
শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৈষম্যের অবসান দাবি: রাঙামাটিতে স্মারকলিপি প্রদান
মোঃ কামরুল ইসলাম, রাঙামাটি
|
![]() শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৈষম্যের অবসান দাবি: রাঙামাটিতে স্মারকলিপি প্রদান শিক্ষকদের এই আন্দোলনের মূল কারণ হলো সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি প্রদর্শিত 'অমানবিক ও অসাংবিধানিক' বৈষম্য। স্মারকলিপিতে শিক্ষক নেতারা স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেন যে, একই পদমর্যাদার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা পাচ্ছেন, শিক্ষকরা সেই সুবিধা থেকে বহুকাল ধরে বঞ্চিত। এই বৈষম্য কেবল অর্থনৈতিক নয়, এটি শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও পেশাগত আত্মসম্মানের ওপরও গুরুতর আঘাত হানছে। শিক্ষক নেতারা বলেন অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করা হলেও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার চালিকাশক্তি শিক্ষকদের প্রতি এখনো বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি কেবল অমানবিক নয়, সংবিধান প্রদত্ত সমানাধিকারের নীতিরও পরিপন্থী।"শিক্ষার মান রক্ষায় ন্যায্য প্রাপ্য জরুরি স্মারকলিপিতে কেবল অভিযোগ নয়, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার স্বার্থেও শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে। নেতারা মনে করেন, শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত না হলে এবং তারা মানসিক চাপমুক্ত পরিবেশে কাজ করতে না পারলে শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখা সম্ভব নয়। উন্নত বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা মেধাবী ও যোগ্যদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করার জন্য অত্যাবশ্যক। শিক্ষক নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, "শিক্ষকদের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করা ছাড়া দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা দুরূহ। শিক্ষকরা যদি মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খান, তবে তারা কীভাবে মনোযোগ দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলবেন। শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি দ্রুত এই বৈষম্য নিরসন করা না হয় এবং শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে তারা বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। তাদের মতে, শিক্ষকরা আর কোনো অজুহাত বা দীর্ঘসূত্রতা মেনে নিতে রাজি নন। স্মারকলিপি প্রদানের সময় বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেলা নেতৃবৃন্দসহ রাঙামাটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের চোখে-মুখে ছিল দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ ও একইসঙ্গে নিজেদের অধিকার আদায়ের দৃঢ় সংকল্প। শিক্ষকদের এই আন্দোলন কেবল রাঙামাটির নয়, এটি সমগ্র দেশের শিক্ষাঙ্গনের একটি প্রতিচ্ছবি। শিক্ষকরা আশা করছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের ন্যায্য দাবির গুরুত্ব অনুধাবন করে দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায়, শিক্ষকদের কঠোর কর্মসূচিতে শিক্ষাব্যবস্থায় যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে, তার দায়ভার শেষ পর্যন্ত সরকারকেই বহন করতে হবে। দেশের শিক্ষা খাতের এই মৌলিক সমস্যার সমাধানে সরকারের সদিচ্ছা ও দ্রুত পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে আছেন রাঙামাটিসহ সারাদেশের শিক্ষকরা। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
