|
হামাস যে ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়ছে তারা কারা?
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() হামাস যে ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়ছে তারা কারা? আটক ও কারাগারে বন্দি মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে সোমবার হামাস এই জিম্মিদের ছাড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দুই বছর আগে হামাসের হাতে আটক হওয়া এ জিম্মিদের বেশিরভাগই মৃত, তাদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। ৪৮ জিম্মির মধ্যে কেবল ২০ জনই এখনও জীবিত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নোভা জিম্মিরা জীবিত যে জিম্মিদের ছাড়া হবে তাদের বেশিরভাগকেই তুলে নেওয়া হয়েছিল দক্ষিণ ইসরায়েলের কিবুতস রেইমের কাছে নোভা সঙ্গীত উৎসবের স্থান থেকে। এদের মধ্যে আছে ২৪ বছর বয়সী এভইয়াতার দাভিদ, যাকে অগাস্টে হামাসের এক ভিডিওতে দেখা গেছে। ওই ভিডিওকে কঙ্কালসার দাভিদকে কিছু একটা খুঁড়তে দেখা যায়। তিনি সেখানে বলেছিলেন, তিনি তার কবর খুঁড়ছেন। জীবিত জিম্মিদের মধ্যে আরও থাকার কথা ২৪ বছর বয়সী পিয়ানোবাদক আলোন ওহেল ও ৩২ বছর বয়সী আভিনতান ওরে’র। হামাসের অপহরণের পর ওরে’র একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে ও তার প্রেমিকা নোয়া আরগামানিকে জিম্মি করার পর একসঙ্গে হাঁটিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। ওই ভিডিওতে আরগামানিকে জীবনভিক্ষা চাইতে এবং তার সঙ্গে হাঁটা ওরের কাছে পৌঁছাতে মরিয়া চেষ্টা করতে দেখা যায়। ভিডিওটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েও পড়েছিল। জুনে আরগামানিকে উদ্ধার করা হয়। কিবুতসিম থেকে নেওয়া জিম্মিরা সাতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল গাজা সীমান্তের কাছে ছোট এলাকা কিবুতসিমে তাদের নিজেদের বাড়ি থেকে। এদের মধ্যে আছে ২৮ বছর বয়সী জমজ গালি ও ঝিভ বারমান, দুই ভাই ২৮ বছর বয়সী অ্যারিয়েল কুনিও ও ৩৫ বছর বয়সী ডেভিড কুনিও। ডেভিডের সঙ্গে জিম্মি করা হয়েছিল তার স্ত্রী শ্যারন ও ছোট ছোট কন্যাদেরকেও। নভেম্বরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতি হয়েছিল সেসময় শ্যারন ও ডেভিডের মেয়েরা ছাড়া পেয়েছিল। ইসরায়েলি সেনা হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে দুই ইসরায়েলি সেনাও রয়েছে। ২২ বছর বয়সী মাতান অ্যাংগ্রেস্ট ও ২০ বছর বয়সী নিমরদ কোহেন। ৭ অক্টোবরের যুদ্ধের সময় হামাসের যোদ্ধারা তাদের আটক করে। বিদেশি জীবিত-মৃত যে ৪৮ জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা হামাসের, তার মধ্যে চারজন বিদেশি নাগরিকও আছে। এদের মধ্যে তানজানিয়ার এক শিক্ষার্থী ও দুই থাই কর্মী মৃত বলে আগেই জানানো হয়েছিল। নেপালি শিক্ষার্থী বিপিন যোশীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনও অজানা। মৃত জিম্মিদের মধ্যে ২৬ জন মারা গেছে বলে ফরেনসিক ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আগেই জানিয়েছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। যোশীসহ দুইজনের ভাগ্যই কেবল অজানা। সবার কবরের স্থান জানা না থাকায় মৃত জিম্মিদের অনেকের দেহাবশেষ উদ্ধারে সময় লাগতে পারে বলে হামাস আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল। বিশেষ একটি আন্তর্জাতিক টাস্ক ফোর্স ওই মৃতদেহ শনাক্তে তাদের সহায়তা করবে। মৃত যে জিম্মিদের দেহাবশেষ হস্তান্তরের কথা তার মধ্যে এক ইসরায়েলি সেনা রয়েছে, যিনি ২০১৪ সালের হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে মারা যান। বাকিরা সবাই ৭ অক্টোবর হামাস যে ২৫১ জনকে জিম্মি করেছিল তাদের মধ্যেই ছিলেন। জিম্মি করার সময়ই অনেকে মৃত অবস্থায় ছিলেন, বাকিরা হয় পরে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে মারা পড়েছেন বা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ওই হামলাই পরে গাজায় ইসরায়েলের দুই বছরের রক্তক্ষয়ী অভিযানের সূচনা করে, যা ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে জানাচ্ছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
