টেকনাফের গহীন পাহাড় আরও ৩৮ নারী-শিশু উদ্ধার, আটক ২
রফিক মাহমুদ, উখিয়া
|
![]() টেকনাফের গহীন পাহাড় আরও ৩৮ নারী-শিশু উদ্ধার, আটক ২ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভোররাতে এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক। তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন দেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নারী, শিশু ও পুরুষদের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় আটক করে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে ১৮ নারী, ১২ পুরুষ ও ৮ শিশুসহ মোট ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে দুই মানবপাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী। ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পাচারকারীরা মুক্তিপণ আদায় ও পাচারের উদ্দেশ্যে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বন্দি রেখে নির্যাতন করছিল। উদ্ধারকৃত নারী-পুরুষ ও শিশুদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর আটককৃত পাচারকারী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে। কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সিয়াম-উল-হক বলেন, “মানবপাচারের জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।” এর আগে গত ২ অক্টোবর টেকনাফের বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ের মানবপাচারকারীদের আস্তানা থেকে ২১ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। তারও আগে ১ অক্টোবর টেকনাফ ঐ পাহাড় থেকে ৮ নারী ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে বিশেষ অভিযানে ৫ যুবককে উদ্ধার করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে ৪৪ জন নারী-শিশু। উদ্ধারকৃতদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা নাগরিক, বাকিরা বাংলাদেশি। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর র্যাব ও বিজিবির যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ৮৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য সীমান্তবর্তী টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা পাচারকারীরা গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে। নিয়মিত অভিযানে বহু নারী-শিশু ও যুবককে উদ্ধার করা হলেও পাচারকারীরা নতুন কৌশলে সক্রিয় রয়েছে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |