|
রাবি ছাত্রীদের নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য’ করায় ছাত্রদল নেতা আজীবন বহিষ্কার
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() রাবি ছাত্রীদের নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য’ করায় ছাত্রদল নেতা আজীবন বহিষ্কার বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। বহিষ্কৃত আনিসুর রহমান মিলন (এ আর মিলন খান) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে মিলনের দাবি, ঘটনার সময় ফেইসবুক আইডি তার ‘নিয়ন্ত্রণে ছিল না’। সোমবার রাতে হল প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই ৩৬ হলের অনাবাসিক ও গণরুমের ছাত্রীদের মধ্যে যারা দেরিতে (রাত ১১টার পর) হলে ফিরেছেন তাদের মধ্যে ক্রমিক নম্বর ১ থেকে ৪৫ পর্যন্ত মঙ্গলবার এবং ক্রমিক নম্বর ৪৬ থেকে ৯১ পর্যন্ত বুধবার বিকাল ৪টায় প্রাধ্যক্ষের অফিসে উপস্থিত থাকবেন। যদিও পরে সমালোচনার মুখে মঙ্গলবার দুপুরে নোটিসটি প্রত্যাহার করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি তাদের ফেইসবুক পেইজে এ খবর দিয়ে একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ নামের একটি ফেইসবুক গ্রুপে ফটোকার্ডটি শেয়ার দেন ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি জান্নাতুন নাঈম তুহিনা। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল ছাত্রদলের সহসভাপতি আনিসুর রহমান মিলন ওই ফটোকার্ডের নিচে লেখেন, “এগুলো ছাত্রী নয়, এগুলো বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী।” মিলনের ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই ৩৬ হলের ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেন। এরপর রাতেই মিলনের পদ স্থগিত করে তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রদল। সবশেষ নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই ৩৬ হলের ৯১ শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাহ মখ্দুম হলের সহসভাপতি এ আর মিলন খান (আনিসুর রহমান) কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দের পক্ষ থেকে এ আর মিলন খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সন্তোষজনক কোনো জবাব না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। “এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে ওই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন। ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এ আর মিলন খানকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ হল সহসভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ঘোষণা করা করছে। একই সঙ্গে সংগঠনের সব নেতা-কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হলো তাঁর সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক কোনো যোগাযোগ না রাখার জন্য।” বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “বোনরা আমাদের গর্ব। তাদের এগিয়ে নিতে আমরা সবসময় বদ্ধপরিকর। কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা ব্যক্তিকে আমরা সাংগঠনিক সকল পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছি। আমরা উপাচার্য বরাবর তাকে আইনি বিচারের মুখোমুখি করার জন্য স্মারকলিপি দেব।” মিলনের বিরুদ্ধে নিজে বাদি হয়ে একটি মামলাও করছেন বলে জানান রাহী। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
