ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারতের ককাস প্রধান, কে এই ওয়াল্টজ?
নতুন সময় ডেস্ক
|
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসন ঘোচানোর কাজে নেমে পড়েছেন। কাকে কোন দায়িত্ব দেবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার আলোচনায় এসেছে হাউসে ইন্ডিয়া ককাসের সহ-সভাপতি মাইক ওয়াল্টজের নাম। যিনি মার্কিন কংগ্রেসের বৃহত্তম দেশ-নির্দিষ্ট গ্রুপ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। মাইক ওয়াল্টজ একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্নেল। মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি অভিজাত বিশেষ বাহিনী ইউনিট গ্রিন বেরেট হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ইউএস হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিনিভের সদস্য হয়েছেন। সেই তাকেই এবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে চূড়ান্ত করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আগত প্রশাসনে ভারতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে ফ্লোরিডার একজন কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজের নাম ঘোষণা করেছেন। যিনি ভারতের ককাসের সহ-সভাপতি। তবে এবার থেকে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে দেখা যাবে তাকে। ইউএস হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য হলেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্র নীতির কঠোর সমালোচক ছিলেন ওয়াল্টজ। সেই সঙ্গে তিনি এই মেয়াদে হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটি, হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি এবং হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে কাজ করেছেন। তিনি ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য ইউরোপকে আরও বেশি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার সমর্থনে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যা দেশটির মূল বৈদেশিক নীতির লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও তিনি আফগানিস্তান থেকে ২০২১ সালে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বাইডেন প্রশাসনের কঠোর সমালোচক ছিলেন। ন্যাটো মিত্রদের প্রতিরক্ষায় আরও বেশি ব্যয় করার জন্য চাপ দেওয়ায় ওয়াল্টজ ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিতদের বিপরীতে মার্কিন জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেননি। এ ব্যাপারে গত মাসে তিনি বলেন, ‘দেখুন আমরা মিত্র এবং বন্ধু হতে পারি এবং কঠিন আলোচনাও করতে পারি। ওয়াল্টজ রিপাবলিকান চীনের টাস্কফোর্সেও রয়েছেন। যেখানে যুক্তি দিয়েছেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সংঘাত হলে মার্কিন সেনাবাহিনীর যতটা প্রস্তুত থাকা দরকার ততটা প্রস্তুত নয়। তাই ধারণা করা হচ্ছে ওয়াল্টজ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের শক্তি আরও বাড়াবে ট্রাম্প প্রশাসন।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |