মুমিনুল হক লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ১৮ এপ্রিল বিকেএসপিতে। সে দিনই ছিল লিগেরও শেষ রাউন্ড। এক মাসের বেশি আগে লিগ শেষ হলেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছ থেকে সম্মানীর টাকা পাননি মুমিনুল। কবে পেতে পারেন, জানা নেই তাঁর। ক্লাব থেকে সম্মানী না পাওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে বিসিবিকে জানিয়েছেন তিনি। সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরীকে ২২ মে ই-মেইল পাঠিয়েছেন মুমিনুল। সিসিডিএম চেয়ারম্যানও বাঁহাতি এ ব্যাটারের কাছ থেকে মেইল পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি জানান, সিসিডিএম বা বোর্ডের দিক থেকে তেমন কিছু করার নেই।
টেস্ট ক্রিকেটার মুমিনুল জানান, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলের সঙ্গে ২০২৪ সালের লিগের জন্য ৩০ লাখ টাকায় খেলার মৌখিক চুক্তি হয়েছিল। অথচ ক্লাব থেকে এখন পর্যন্ত একটি টাকাও পাননি। তিনি বলেন, ‘বাদল ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল এক ম্যাচ খেললেও ৩০ লাখ টাকা দিতে হবে। তিনি রাজি হয়েছেন এবং আমি জাতীয় দলের দায়িত্ব শেষ করে লিগে ছয়টি ম্যাচ খেলি। চুক্তি অনুযায়ী আমি পুরো টাকা পাব।’
মুমিনুলকে সম্মানীর টাকা না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘তার সঙ্গে ৩০ লাখ টাকায় চুক্তি হয়েছিল, সেটা ঠিক। এই টাকা পেতে হলে লিগের সব ম্যাচ খেলতে হতো তাকে। সম্ভবত সে পাঁচটি ম্যাচ (৬টি) খেলেছে, ১৫ লাখ টাকা পাবে। আমি প্রথমে ১৫ লাখ টাকা দিতে চাইলে সে নেইনি। ঈদের আগে টাকা চাইলে ১০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলাম, তাও নেয়নি। লিগ শেষে আমাদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলকে ফোন দিলে তিনি ধরেননি। দল সুপার লিগে উন্নীত হতে না পারায় হয়তো মন খারাপ ছিল। সে যে কয় ম্যাচ খেলেছে, সে টাকা নিলে দিয়ে দেব।’
টাকা না পাওয়া এবং মুমিনুলের ই-মেইল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সিসিডিএম চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি মেইল পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। বিষয়টি ক্লাব এবং খেলোয়াড়ের সমস্যা। কারণ এ দুইপক্ষের চুক্তিতে আমাদের সম্পৃক্ততা থাকে না। আমরা অনুরোধ জানাতে পারি বা টাকা না দেওয়ার কারণ জানতে চাইতে পারি। এর বেশি কিছু না।’