‘অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন/সেদিন তোমার!’—নির্জন স্বাক্ষর কবিতায় জীবনানন্দ দাশের এই প্রশ্ন আজ সকলকেই করা যেতে পারে। কেননা আজ ঘুমের দিন। ঘুমের দিনে ঘুমটা কী ঠিকঠাক হলো? কতক্ষণ ঘুমালেন আজ?
এসব প্রশ্ন আজ আসতেই পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানুষকে দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হয়। বর্তমান সময়ে ঘুম–সংক্রান্ত অনেক রোগ যেমন দীর্ঘস্থায়ী ঘুমের অভাব এবং ঘুমের ব্যাঘাতের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, বিষণ্নতা, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ অনেক গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।
ঘুম আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। প্রতিদিন আমাদের ঘুমাতেই হয়, তা যত ঘণ্টাই হোক। খাওয়া বাদ দিলেও ঘুমটা বাদ দেওয়া যায় না।
এই ঘুমের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। ঘুম–সংক্রান্ত এই সমস্যাগুলো এড়াতে ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটি ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ঘুম দিবস শুরু করে। এখন বিশ্ব ঘুম দিবস ৮৮টির বেশি দেশে পালিত হয়।
প্রতি বছর বিশ্ব ঘুম দিবসের একটি ভিন্ন থিম থাকে। এ বছর বিশ্ব ঘুম দিবসের থিম ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের সমতা’।
ঘুম দিবস নিজের মতো কাটাতে আপনি সবচেয়ে সহজে যেটা করতে পারেন, তা হচ্ছে ঘুমিয়ে পড়ুন। ঘুমপ্রেমীরা পারলে কাজ থেকে ছুটি নিন। যতক্ষণ ইচ্ছা ঘুমান। আর তা সম্ভব না হলে অন্তত ২০ মিনিটের জন্য ঘুমিয়ে নিন। ওঠার পরে সতেজ অনুভূতি হলে বুঝতে হবে, এই ঘুমটা সত্যিই আপনার দরকার ছিল।