আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্নি ইত্তেহাদে যোগ দিলেন পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্ররা
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্নি ইত্তেহাদে যোগ দিলেন পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্ররা বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দাখিলের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জোটে যোগ দিয়েছেন তারা। পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্রদের মধ্যে জাতীয় পরিষদে ৮৯ সদস্য, খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদের ৮৫ সদস্য, পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের ১০৬ সদস্য এবং সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের ৯ সদস্য তাদের হলফনামা জমা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় পরিষদে বিরোধী জোটের আসনসংখ্যা ৯৩-তে দাঁড়িয়েছে। তিন পিটিআই নেতা হলফনামা জমা দেননি। তারা হলেন ওমর আইয়ুব খান, গহর খান ও আলি আমিন গান্দাপুর। আর নির্বাচন কমিশন দাওয়ার কুন্দি নামের এক প্রার্থীর প্রজ্ঞাপন এখনো জারি করেনি। ওমর আইয়ুব ও গহর খান ইচ্ছা করেই হলফনামা জমা দেননি। তারা পিটিআইয়ের আন্তদলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। আর গান্দাপুরের হলফনামা জমা না দেওয়ার কারণ হলো, তাকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছে পিটিআই। পিটিআই সূত্র বলেছে, আইয়ুব ও গহর ছাড়া তাদের সমর্থিত সব জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যেরা এসআইসিতে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় পরিষদের দুই নির্বাচিত সদস্য চৌধুরী ইলিয়াস ও মুহাম্মদ আসলাম গুম্মাম নিখোঁজ আছেন। তবে তাদের হলফনামাও পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের ৮ ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পান পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। তৃতীয় স্থানে আছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। ইতিমধ্যে পিএমএল-এন ও পিপিপি জোটবদ্ধভাবে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন অবস্থায় জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিজেদের পক্ষের আসনসংখ্যা বাড়াতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয় পিটিআই। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে তারা নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন দাবি করতে পারবে। দলীয় এক সূত্র বলেছে, পিটিআই আশা করে, এসআইসিতে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তারা এখন জাতীয় পরিষদ এবং প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত আসনগুলো ভাগাভাগি করতে পারবে। সূত্র: ডন নিউজ |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |