|
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি' র প্রভাবে যশোরের কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ!
জুবায়ের হোসেন, যশোর
|
![]() ঘূর্ণিঝড় মিধিলি' র প্রভাবে যশোরের কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ! চাষিরা বলছেন, এই মুহূর্তে ঝড় বৃষ্টি হলে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ক্ষেতে কেটে রাখা ধান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্যমতে, আট উপজেলার ১ লাখ ৪০ হাজার ১৩৮ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। জেলার কিছু কিছু এলাকায় ধান কাটাও শুরু হয়েছে। মাত্র ২/৩ দিন পর হবে পুরোদমে ধান কাটার কাজ । সরেজমিনে দেখা যায়, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের দোগাছিয়া, আহসাননগর, বাগডাঙ্গা, ঝাউদিয়া, বাদিয়াটোলা, সাজিয়ালী, শ্যামনগর, ভাগলপুর, কমলাপুর, জগহাটি, গোবিলা, ইসলামপুর, দেয়াড়া ইউনিয়নের চান্দুটিয়া, আলমনগর, ফরিদপুর, ঝিকরগাছা উপজেলার, কায়েমকোলা, চৌগাছার পাশাপোল ইউনিয়নের দশপাকিয়া বাড়ীয়ালী, রাণীয়ালী, দুড়িয়ালী, সলুয়া, মাছরাঙা, গোবিন্দপুর শার্শার ডিহি ইউনিয়নের গোকর্ণ, পন্ডিতপুর, পাকশিয়া এলাকায় মাঠের পর মাঠ জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলেছে। এখন আর চাষিদের মুখে হাসি নেই। যশোর সদরের চান্দুটিয়া গ্রামের খবির মন্ডলের ছেলে উসমান মন্ডল জানান, এবারের মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে শুরুতে সেচ দিয়ে ধান রোপন করতে হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধানের মৌসুমে প্রকৃতির পানিতে ধান রোপন করা হয়ে থাকে কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত সেটা আর হচ্ছে না। এজন্য ধান রোপন করতে দেরি হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠের প্রায় ৯৫ শতাংশ জমির ধান পেকে গেছে। চলতি মৌসুমের আবাদে অনেক টাকা ব্যয় করেছেন। ধান ঘরে তোলার মুহূর্তে ঝড় বৃষ্টি হলে তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর উপ পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, মাঠের তিন ভাগের এক ভাগ ধান কেটে ঘরে তুলেছে কৃষক। বাকি যে ধান মাঠে রয়েছে তা ঘূর্ণিঝড় ও বড় ধরণের বৃষ্টি না হলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে ধানের তেমন কোন ক্ষতি হবে না।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
