|
তাড়াশে আমন ধান ক্ষেত ইঁদুরের দখলে, ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষক
সাব্বির মির্জা, তাড়াশ
|
![]() তাড়াশে আমন ধান ক্ষেত ইঁদুরের দখলে, ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষক স্থানীয় কৃষকরা বলেন, আমন ধানগাছে এখন শীষ ধরার সময়। কিন্তু ক্ষেতে মধ্যে হঠাৎ করে ইঁদুর ও পোকার উপদ্রব বেড়ে গেছে। রাতের অন্ধকারে ইঁদুর দলবেঁধে গাছ কেটে ফেলছে। আবার পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণে অনেক গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার তালম, দেশীগ্রাম, মাধাইনগর, বারুহা তাড়াশ পৌরসভারসহ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব ক্ষেতের ধানগাছে শীষ বের হওয়া শুরু হয়েছে। ধান গাছগুলোও বেশ সতেজ ও হৃষ্টপুষ্ট। কিন্তু অনেক ক্ষেতে ধানগাছ মরা দেখা গেছে। ইঁদুর ধান গাছের গোড়া কেটে দেওয়ায় গাছগুলো মরে শুকিয়ে গেছে। দেশীগ্রামের কৃষকরা জানান , তারা ইঁদুর তাড়াতে নানা শব্দ করেন, ক্ষেতে বাঁশেরকঞ্চিতে রঙিন কাগজ টানিয়ে চেষ্টা করেন ইঁদুর তাড়ানোর। কিন্তু তা কাজে আসছে না। কৃষি অফিসের লোকেরা বলেন ক্ষেতে ইঁদুর মারার বিষ দেওয়ার জন্য, কিন্তু বিষও মানতে চায় না। উপজেলার গোন্তা গ্রামের আছাদুল ইসলাম, পারিল গ্রামের সিহাব সরকার, লাউতা গ্রামের ইছাহাক আলী, দেশীগ্রাম গ্রামের সুমন আহমেদ, মাঝ দক্ষিণা গ্রামের ইসরাফিল হোসেন, মাধাইনগর গ্রামের হাসেম আলী, গুরমা গ্রামের সাগর হোসেন, কাস্তা গ্রামের আইয়ুব আলী, বারুহাস গ্রামের মাসুদ রানা, পলাশী গ্রামের ফারুক আহমেদ, বস্তু গ্রামের বুলবুল হোসেনসহ তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, অনেক বড় বড় ইঁদুর রাতের বেলায় ক্ষেতে হানা দেয়। ধান গাছে মাত্র থোর (ধান) ধরতে শুরু করেছে। এসময় ইঁদুরের দল ক্ষেতে ঢুকে ধানগাছের গোড়া কেটে দিচ্ছে। ফলে গাছগুলো নেতিয়ে পড়ে মরে যাচ্ছে। এখনই ইঁদুর দমন করতে না পারলে ঘরে ফসল তোলা সম্ভব হবে না। উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝ দক্ষিণা গ্রামের কৃষক সুলতান মাহমুদ ও গুরমা গ্রামের সাগর হোসেন জানান, ‘আমন ধান আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ফলনের জন্য সব পরিশ্রম এই ফসলে দিয়েছি। কিন্তু ইঁদুর আর পোকার আক্রমণে জমি প্রায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসে জানিয়েছি। এখন যদি কৃষি বিভাগ সাহায্য না করে, তাহলে আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়ব।’ এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা জানান, ‘মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ চলছে এবং কৃষকদের দ্রুত কীটনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি দলবদ্ধভাবে ইঁদুর দমন অভিযানের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রোগ নির্ণয় করে উঠান বৈঠক করে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে। তবে প্রত্যেক এলাকায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ব্যাপক কাজ করছেন। আমরাও কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। ক্ষেতে ইঁদুরের ফাঁদ, বাঁশের চুঙি ও ক্ষেতে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে। তার পরও কৃষকরা যেন কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। আমরাও নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।’ |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
