|
ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে নানা প্রশ্ন
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে নানা প্রশ্ন যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে ক্ষমতাশালী শিক্ষক গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় থাকা প্রার্থীরাই সুবিধাভোগী হন। অনেক ক্ষেত্রেই নিয়োগের সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ঠিক করা, যেখানে ইন্টারভিউ কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। গত ৫ আগস্টের পর ফার্মেসি অনুষদে একাধিক নিয়োগ ও পদোন্নতির বোর্ড বসেছে। তবে প্রতিটি বোর্ডেই যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ২২ মে অনুষ্ঠিত ফার্মেসি অনুষদের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত চার মাসেও প্রকাশ হয়নি। বোর্ডে তিনজন প্রার্থীকে বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল একজন পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। অথচ নেকাব পরিধান করায় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁকেই বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে। বোর্ডে উপস্থিত এক শিক্ষক গত মাসে যোগ্যতা বিবেচনায় প্রথম ও দ্বিতীয় জনকে পেছনে ফেলে তৃতীয় প্রার্থীকে দ্রুত পিএইচডি থিসিস জমা দিতে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অনুষদের ভেতরে অনেকে মনে করছেন, বোর্ডের গড়িমসি ও বৈষম্য হতাশাজনক। একজন শিক্ষক বলেন, “পিএইচডি প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট ছিল। অথচ তাঁকেই বঞ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে।” সম্প্রতি, চলতি বছরের গত ২২ আগস্ট ফার্মেসি অনুষদের ওষুধ প্রযুক্তি বিজ্ঞান বিভাগে ৪টি পদের জন্য ইন্টারভিউ অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী, ২৭ তারিখে যে ৪জন যোগদান করেন তারা কেউই মেধা তালিকায় শুরুর দিকের নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী, আবেদনকারীদের একটি তালিকা করা হয়, এবং জানা গিয়েছে ২০ জন প্রার্থীর এই নিয়োগে যোগদান প্রাপ্ত সকলের ক্রম ছিল ১৬ এর পরে। শুধু তাই নয়, তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাচ থেকে প্রথম সারির প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অনৈতিকভাবে এই নিয়োগ দেয়া হয়। উপরন্তু, নিয়োগপ্রাপ্ত একজন প্রভাষকের এম ফার্ম এর জিপিএ ৩.৬৭, এবং কোন ল্যাবরেটরি রিসার্চের সাথে তার সম্পৃক্ততা ছিলনা বলে জানা যায়। ফলস্বরূপ, অনেক মেধাবী প্রার্থী যাদের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হয়েছেন, অথচ কম যোগ্য প্রার্থীরা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক। এ ধরনের নিয়োগ শুধু শিক্ষা ব্যবস্থার নৈতিক ভিত্তিকেই দুর্বল করছে না, বরং ভবিষ্যতের গবেষণা ও শিক্ষার মানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। শিক্ষার্থীরাও মনে করছেন, এভাবে যোগ্যদের বাদ দিলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ফলে নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
