ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
রোববার ১৯ মে ২০২৪ ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সাতক্ষীরায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বাগদা চিংড়ি থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে
রাকিবুল ইসলাম, সাতক্ষীরা
প্রকাশ: Sunday, 5 May, 2024, 9:52 PM

সাতক্ষীরায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বাগদা চিংড়ি থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে

সাতক্ষীরায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বাগদা চিংড়ি থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সাতক্ষীরায় রপ্তানি আয় বেড়েছে দেশের সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি থেকে। চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে ২ হাজার ২৫ কোটি টাকা আয় হয়েছে, যা গেল অর্থবছরের তুলনায় অন্তত ১৫০ কোটি টাকা বেশি।

দেশে মোট রপ্তানিজাত চিংড়ির একটি বড় অংশ উৎপাদন হয় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায়। প্রতি বছর আড়াই থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার চিংড়ি রপ্তানি হয়। চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি সময় এসে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা দিয়ে প্রবাহিত প্রচন্ড তাপদাহে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার অনেক চিংড়ি ঘরের মাছ মারা গেলেও গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর রপ্তানি আয় বেড়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, সত্তর-আশির দশকের দিকে শুরু হয় সাতক্ষীরায় লবণ পানির চিংড়ি চাষ। বাগদা, গলদা, হরিণা, চাকা ও চেম্বিসহ বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি চাষ হয় এখানে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে সাতক্ষীরার ছয়টি উপজেলায় ৫৯ হাজার লবণ পানির ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়, যা থেকে ২৭ হাজার টন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদিত এসব বাগদা চিংড়ি থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ২৫ কোটি টাকা। মোট উৎপাদিত চিংড়ির ৯০ শতাংশ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয় এবং বাকি ১০ শতাংশ দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ হয়েছে। এর আগে ২০২২-২৩ মৌসুমে জেলায় ২৫ হাজার টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছিল, যা থেকে রপ্তানি আয় হয় ১ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি মৌসুমে ১৫০ কোটি টাকা রপ্তানি আয় বেড়েছে।

করোনা পরবর্তী এ জেলায় বাগদা উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমন রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে জেলার চিংড়িচাষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা।
আশাশুনি উপজেলার সরাপপুরের চিংড়িচাষী রাজ্যেশ্বর দাশ জানান, প্রায় চার দশক ধরে চিংড়ি চাষ করেন তিনি। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ২ হাজার বিঘা ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষ করেছেন। উৎপাদন খরচ উঠিয়ে প্রায় দেড় থেকে ২ কোটি টাকা লাভ হয়েছে। তবে প্রথম পর্যায়ে কিছু মাছ মারা যায়। তা না হলে লাভের পরিমাণটা আরো বাড়ত। চিংড়ি উৎপাদনে সম্ভাবনাময় জেলা সাতক্ষীরা কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সুনাম হারাচ্ছে বাংলাদেশী চিংড়ি। অতিমুনাফা করতে চক্রটি চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে আন্তর্জাতিক বাজার নষ্ট করছে।

সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম বাবলা জানান, জেলার উৎপাদিত বাগদা চিংড়ির চাহিদা রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে। তবে কোভিড এর সময় রপ্তানি বন্ধ থাকায় দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারেও চাহিদা বেড়েছে। এখন দেশের বাজারে বাগদা চিংড়ি ৮০০-৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, ২০২৩-২৪ মৌসুমে সাতক্ষীরায় রপ্তানিজাত বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ২৭ হাজার টন যা গত বছরের তুলনায় অন্তত ২ হাজার টন বেশি। উৎপাদিত এসব বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা হারে গড় রপ্তানি মূল্য ২ হাজার ২৫ কোটি টাকা। গেল মৌসুমে জেলায় ২৫ হাজার টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়, যা থেকে রপ্তানি আয় ছিল ১ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাগদা চিংড়িতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫০ কোটি টাকা। উৎপাদন এবং রপ্তানি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চিংড়িচাষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status