|
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগ নেত্রী রেজিয়ার অপকর্মের তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
|
![]() কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগ নেত্রী রেজিয়ার অপকর্মের তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে আজ ১ নভেম্বর শনিবার সকালে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক কবিরাজ পাড়ার লোকজন রেজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাকে গ্রেফতারের দাবী জানান। তাদের অভিযোগ, আওয়ামীলীগ সরকার পতনের মূল হোতা দেশের প্রতিটি জেলার আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মী। এসব নেতাকর্মীর বেশিরভাগই ছিলো লুটপাটকারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল তাদের ভয় দেখানোর হাতিয়ার, জমি দখল এবং মাঠ পর্যায়ে গ্রাম্য সালিশ সমাধানের নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া ছিল তাদের অন্যতম ব্যবসা। পুরুষ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নারি নেতাকর্মীরাও কম ছিলো না। কুড়িগ্রাম জেলাব্যাপী নারি নেতাকর্মীদের উক্তরূপ অপকর্মও ছিলো নজিরবিহীন। অমন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ১১তম সদস্য রেজিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে। রেজিয়া বর্তমানে কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে ট্রেড বিষয়ক প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। রেজিয়া আওয়ামীলীগ সরকারের সময় সরকারি কর্মচারী (আচরণ)চাকুরী বিধিমালা ১৯৭৯- এর বিধি২৫(১) এর বিধি লংঘন করে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে এলাকার মসজিদের জায়গা দখলের পায়তারা চালায়। সে সময় তার ক্ষমতার দাফটে কেউ কিছু বলতে সাহস করেনি। রেজিয়া এলাকার মসজিদের জায়গা সরকারি ভাবে লিজ নিয়ে দখলে নেয়ার জন্য গত ১৫/৯/২০০৯ ইং তৎকালীন জেলা প্রশাসক বরাবর মসজিদের জায়গাকে অকৃষি খাস জমি একসনা লীজের আবেদন করেন। যার মৌজা: পলাশবাড়ী, খংনং-১, দাগনং- ৩৩১৩( নতুন), জমির পরিমাণ ৪ শতক। উক্ত জমি রেজিয়াকে দেয়ার জন্য সাবেক জাতীয় সংসদ আহমেদ নাজমীন সুলতানা গত ১৯/৯/২০০৯ সুপারিশ করেন। অজ্ঞাত কারণে জমিটির বন্দোবস্ত দেয়া না হলে রেজিয়া পূনঃরায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে ওই সাংসদ আবারও গত ১৭/৪/২০১২ইং সুপারিশ করেন। অজ্ঞাত কারণে আবারও বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। সর্বশেষ গত ১১/২/২০২১ ইং এবং পরে ১১/১/২০২৩ইং তারিখে রেজিয়া আবারও উক্ত জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। এই সময় উক্ত মসজিদের জমিটি তার নামে বন্দোবস্ত দেয়ার প্রায় সকল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হচ্ছিলো। এসময় বিষয়টি অনৈতিক মনে করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ও এলাকাবাসী বাঁধা দিলে রেজিয়া তার আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক ক্ষমতার দাফট দেখিয়ে সাংসদ নাজমীন সুলতানাকে দিয়ে এলাকার এক যুবককে হয়রানি মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করেন। এঘটনায় রেজিয়া এলাকায় বিষের রাণী হিসেবে সর্বত্র প্রচারীত হয়। এছাড়া আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী ওবাইদুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেরা খাতুন তার প্রতিটি কথা মান্য করে, জেলা আওয়ামী সভাপতি জাফর আলী তার ডান হাত, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি দেখিয়ে অনেককে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়, মহিলাদের বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন প্রকার দালালি, এমনকি অফিস না করে সরকারি বেতনভাতা উত্তোলনের অভিযোগ করেন তারা। কেউ কিছু বললেই এখনো বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন। এলাকাবাসী ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রেজিয়ার সকল অপকর্ম তদন্ত সাপেক্ষে তাকে গ্রেফতারের দাবী জানান। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
