যে উপায়ে সন্তানকে শৃঙ্খলা শেখাবেন
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() যে উপায়ে সন্তানকে শৃঙ্খলা শেখাবেন এই বয়স থেকেই নানা পদ্ধতির মাধ্যমে এই অভ্যাস গড়ে তুললে তা একেবারে মনের গভীরে গিয়ে গেঁথে যায়। এই একই অভ্যাসগুলো বড় বয়সে তৈরি করতে গেলে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। কিন্তু ছোট বয়সে তা রপ্ত করা খুবই সহজ। আর ছোটবেলায় সন্তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে শেখানোর দায়িত্ব অভিভাবকেরই। যারা নতুন মা-বাবা, তারা এ ব্যাপারে ছোট থেকেই সন্তানকে এই অভ্যাস করাতে পারেন। তবে তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। কী সেসব নিয়ম, জেনে নিন— নিজেই আদর্শ হোন শিশুরা সবসময় দেখাদেখিতেই শেখে সবচেয়ে বেশি। তাই সবার আগে আপনি আপনার নিজের আচরণের দিকে খেয়াল রাখুন। ওদের শৃঙ্খলা শেখাতে চাইলে নিজে সেই শৃঙ্খলা মেনে চলুন। এটা কঠিন কাজ। কিন্তু উভয়ের জন্যই ভালো। নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করুন আগে থেকেই কিছু নিয়ম তৈরি করুন, যা ধারাবাহিকভাবে মেনে চলতে হবে। সকালের দাঁত ব্রাশ থেকে শুরু করে রাতে ঠিক সময়ে খাওয়া, এমনকি খেলাধুলার সময়—সব কিছু একটি নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলুন। এই নিয়ম সন্তানের বয়স অনুযায়ী পরিবর্তন হবে। কিন্তু নিয়ম মানতে হবে। কেন ওই নিয়ম বানাচ্ছেন, তার কারণও বুঝিয়ে বলুন সন্তানকে। তাতে সেই নিয়ম মেনে চলতে তাদের সুবিধা হবে। নিয়ম ভাঙার শাস্তিও আগেই ঠিক করুন নিয়ম মানা যেমন জরুরি, তেমনই নিয়ম অমান্য করার পরিণতিও ভুগতে হবে। সেই পরিণতি কী, তা আগে থেকেই ঠিক করুন। যেমন সময়ে পড়াশোনা শেষ না করলে বাড়ির কোনো কাজে সাহায্য করতে হবে। বা খেলার সময় বাড়লে কেনো একটি ঘর পরিষ্কার করতে হবে। ভালো কাজের স্বীকৃতি ‘শাস্তি’ যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি পুরস্কারও। তাই কেনো কাজ ভালো হলে তার প্রশংসা করুন বা পুরস্কৃত করুন। এতে ভালো কাজে আরো বেশি উৎসাহী হবে আপনার সন্তান। সমস্যা সমাধানের শিক্ষা শৃঙ্খলার অর্থ শুধু কিছু পূর্বনির্ধারিত নিয়ম মেনে চলা নয়, স্বাবলম্বী হওয়াও এর মধ্যে পড়ে। তাই সন্তানকে নিজের সমস্যার সমাধান নিজেকেই করতে দিন। প্রয়োজনে সাহায্য করুন। কিন্তু সমাধান তাদেরই করতে দিন। অসুবিধা জানুন আপনার সন্তান কোন বিষয়ে কী ভাবছে, সে একটি বিষয়কে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখছে বা কোনো বিষয়ে তার উদ্বেগ হচ্ছে কি না, সেগুলো শুনুন। দরকার হলে তার জন্য আলাদা একটা সময় বের করুন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের শিক্ষাও এ থেকে পাবে আপনার সন্তান। ধারাবাহিকতা ও ধৈর্য শৃঙ্খলার আসল চাবিকাঠি হলো ধারাবাহিকতা। আর সেই ধারাবাহিকতার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য। এই ধৈর্য দুই পক্ষেরই থাকা দরকার। বিশেষ করে সন্তান যখন শিখছে, তখন মা-বাবাকেই আরো বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে। সন্তান ভুল করবেই। কিন্তু সেই ভুলগুলো শুধরে দেওয়ার পরে সেটা ঠিক রাখার চেষ্টা কতটা করছে, সে দিকে খেয়াল রাখুন। আর দেখুন, যে নিয়ম তৈরি করেছেন তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে কি না। তাহলেই বুঝবেন সন্তান ঠিকপথে এগোচ্ছে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |