তালতলীতে বিএনপির দুই মেরুতে উত্তাপ, রক্তাক্ত সংঘর্ষে রূপ নিলো রাজনীতি! আহত অন্তত ২০
তামান্না জেনিফার, বরগুনা
|
![]() তালতলীতে বিএনপির দুই মেরুতে উত্তাপ, রক্তাক্ত সংঘর্ষে রূপ নিলো রাজনীতি! আহত অন্তত ২০ কেন এমন পরিস্থিতি? গতকাল সোমবার তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন দলীয় কর্মী ও ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম। সংবাদ সম্মেলনে হাজির ছিলেন দলের একাংশের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন, যুবদল, শ্রমিক দল ও কৃষক দলের নেতারাও। এরই প্রতিবাদে আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শহিদুল হকের পক্ষের লোকজন শহরের প্রধান সড়কে মানববন্ধন করেন। তবে ঠিক একই সময় এবং জায়গায় অপর পক্ষ মামুন ও রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে পাল্টা বিক্ষোভ শুরু হয়। দুই পক্ষের 'রাজনৈতিক শোডাউন' এক পর্যায়ে গায়ে-গতরে এসে ঠেকে। লাঠি, লোহার রড, ইট-পাটকেল সবকিছু যেন প্রস্তুতই ছিল সংঘর্ষের জন্য। ক্ষিপ্ত জনতা, আতঙ্কিত শহর সংঘর্ষের খবরে মুহূর্তেই শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের দোকানপাট সটকে পড়ে, সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে বেড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা। তাঁর নির্দেশে নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুর রহিম, কবির হোসেন, রুবেল, আদাউদ্দিন, সাইদুর রহমান, মিজানুর রহমান, নুর মোহাম্মদ, আব্দুল হাই, সাবিত, শাকিল, রবিউল মুসুল্লি, মহসিন খান, মানু আলীসহ অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শেরেবাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ কে এম মনিরুল ইসলাম জানান, "তীব্র আঘাত পেয়েছেন কয়েকজন। মাথা ফাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে। চারজনকে আমরা রেফার করেছি।" ![]() তালতলীতে বিএনপির দুই মেরুতে উত্তাপ, রক্তাক্ত সংঘর্ষে রূপ নিলো রাজনীতি! আহত অন্তত ২০ তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন চলছিল। এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্যসচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে।’ তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, "পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, নৌবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের দোকানপাট ২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ এক দলে দুই লাঠি, রাজনীতির ভবিষ্যৎ কোথায়? এই ঘটনাটি প্রমাণ করে দলীয় আদর্শের চেয়ে ব্যক্তিগত আধিপত্য অনেক বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে রাজনীতিতে। তালতলীতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে রক্ত ঝরাচ্ছে। ক্ষমতার লড়াইয়ে জনগণ এখন শুধু |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |