ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
তেঁতুলিয়ায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন
মুস্তাক আহমেদ তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়
প্রকাশ: Saturday, 28 June, 2025, 4:14 PM
সর্বশেষ আপডেট: Saturday, 28 June, 2025, 4:17 PM

তেঁতুলিয়ায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন

তেঁতুলিয়ায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন। প্রতিটি প্রকল্পের কাজ যেন জনকল্যান ও জনসেবামূখী হয় এজন্য  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় সবকটি প্রকল্পে  স্ব শরীরে গিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন তদারকি করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম। ভবিষ্যতে একই নামে একাধিক প্রকল্প এবং একই প্রকল্পের নামে পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে জন্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রকল্পের যাচাই বাছাই করার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এজন্য নতুন সফটওয়্যার ডেভেলাপ এর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস।

প্রকল্পের পূর্বের ছবির সাথে বাস্তবায়ন কৃত কাজের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে  বরাদ্দ সম্পন্ন করা হচ্ছে। তেঁতুলিয়ার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে চলতি অর্থ বছরে (২০০২৪-২৫) ৭ টি ইউনিয়নের জন্য গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষানাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্প ৭২  টি গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্প ১ (কাবিখা চাল ও গম) ৩৩
টি , গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্প ২ (কাবিটা- নগদ অর্থ ) ৪৪ টি,  ত্রান ব্রীজ প্রকল্প  ১৪ টি হেরিং বোন্ড বন্ড (এইচবিবি) ০১ টি মোট ০৬ টি ক্যাটাগরিতে ১৬৪ টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৯৮,১৪,৪৬৩ টাকা ও ৮৪.৩৭৮২ মে.ট্রন চাল এবং ৮৭.৩৭৮২ মে.টন গমের বরাদ্দে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।   

স্থানীয়দের মতে বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী সরকারের আমলে জনপ্রতিনিধিরা নামে বেনামে প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাপক দুর্ণীতি ও লুটপাট করেছিল।  গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প গুলোর মধ্যে টিআর- কাবিখা-কাবিটা এমনকি উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকেও শত শত কোটি টাকা লুটপাট হয়ে ছিল। অথচ প্রকল্পের ৫০ শতাংশও কাজ হয়নি বিগত দিনগুলোতে। ভুয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি দিয়ে সরকারী অর্থের স্বদব্যবহার না করে হরিলুট করেছিল তৎকালীন রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা। অথচ বর্তমানে জনপ্রতিনিধিদের সর্বোচ্চ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে প্রকল্পের কাজের সর্বোচ্চ উৎকর্ষতা আদায় করতে মাঠে মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।

গত মার্চের ০৪ তারিখে তেঁতুলিয়ায় নবাগত ইউএনও আফরোজ শাহীন খসরুর যোগদানের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। যেখানেই অনিয়ম সেখানেই প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সহজ সমাধানের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজকে দ্রুত গতিতে ত্বরান্বিত করছেন এই কর্মকর্তা। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় বিল বিতরণে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস । অনিয়ম হয়েছে এমন প্রকল্প গুলোতে পুনরায় কাজ করে বিল পরিশোধের জন্য কঠোর নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। এরপরেও কাজ সন্তোষজনক না হলে প্রকল্প বাজেয়াপ্ত হবার সম্ভবনার কথাও জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস।

তেঁতুলিয়ায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন

তেঁতুলিয়ায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন

এ প্রসঙ্গে ২ নং তিরনই হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসাইন বলেন বর্তমান ইউএনও মহোদয় বিগত দিনে ত্রান ও এজিইডি বাস্তবায়নকৃত প্রকল্পের একই কাজ বার বার হয়েছিল , কিন্তু বর্তমানে ইউএনও মহোদয়ের বিচক্ষনতায় বন্ধ হয়েগেছে সেই সুযোগ। ইউএনও মহোদয় কোন কাজ না দেখে বিল দিচ্ছে না। এমন সময় আমরা কিছু কাজ হয়ত করতাম না কিন্তু বর্তমানে সেই কাজগুলো নিবিড় ভাবে হচ্ছে । বিশেষ বরাদ্দ এবং সাধারণ বরাদ্দের মধ্যে আগে কখনও সমন্বয় ছিল না। কিন্তু বর্তমান ইউএনও মহোদয় সবাইকে নিয়ে সব ধরণের বরাদ্দগুলিকে সমন্বয় করছেণ। এতে করে আমরা শতভাগ খুশি জনগনের টাকায় জনসেবার সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে। একই প্রকল্পে যেন একাধিকবার প্রকল্প নিতে পারে এ জন্য উপজেলা নির্বাহী মহোদয় একটি সফটওয়্যার ডেভেলাপ করছেন যা সত্যিই প্রসংসনীয়।

তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন  বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের তত্তাবধানে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ ৮০-৯০ শতাংশ উঠে এসেছে। এতে উপকৃত হচ্ছে এ অঞ্চলের জনগন। ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনায় প্রতিটি কাজের পূর্নমূল্যায়ন করছি আমরা। কাজ শেষ না হলে বিল পরিশোধ করা হবে না এ ব্যাপারে পিআইও অফিস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু বলেন প্রত্যকটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন যেন সঠিক হয়, জনকল্যানমূখী হয়, জনসেবামূখী হয় এ জন্য  আমি প্রতিনিয়ত প্রকল্প পরিদর্শন করছি । যে কোন প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে আমরা বিল পরিশোধ করবোনা। সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে, কাজ পরিদর্শন করে, পূর্ণবিবেচনা করে বির দেয়া হবে। কিছু বরাদ্দের টাকা এখনও পরিশোধ করা হয়নি তবে স্টিমেট অনুযায়ী কাজ শেষ হলে বিল করতে কোন বাধা নেই। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পেলে টাকা ফেরত নেওয়ার মাধ্যমে প্রকল্প বাজেয়াপ্ত করা হবে। একই প্রকল্প একাধিকবার এমন কি পূনরাবৃত্তি যেন না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা একটি সফটওয়্যার ডেভেলাপ করার সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছি, ইতিমধ্যেই সেই সফটওয়ার এর কাজ চলমান বর্তমানে তথ্য এন্টির কাজ চলছে। আমি মনে করি এই সফটওয়ার চালু হলে একই প্রকল্পের নামে একাধিক প্রকল্প এবং নামে একই প্রকল্পের পুনরাবৃত্তি আটকানো যাবে।

 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status