ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
চুলকানি কেন হয়, কী করবেন
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Monday, 5 May, 2025, 6:35 PM

চুলকানি কেন হয়, কী করবেন

চুলকানি কেন হয়, কী করবেন

চুলকানি হয়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। চুলকানি এমন একটি অনুভূতি, যা হলে শরীরে আঁচড় দিতে ইচ্ছা করে। সবার অনুভূতির মাত্রা ও সংবেদনশীলতা এক নয়। ফলে অনেকে অল্প সমস্যায় বেশি চুলকানি অনুভব করেন। চর্মরোগ ছাড়াও অনেক সাধারণ কারণ ও বিভিন্ন অঙ্গের রোগের বহিঃপ্রকাশ চুলকানির মাধ্যমে শুরু হতে পারে। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় কারও কারও এর প্রকোপ বাড়ে।

চুলকানি কেন হয়

হিস্টামিন ও অন্যান্য নিউরোট্রান্সমিটার (স্নায়ুকোষে সংকেত বহনকারী রাসায়নিক পদার্থ) চুলকানির জন্য দায়ী। চুলকানি চার ধরনের হয়। ১. প্রুরাইটোসেপটিভ ইচ—এটি চর্মরোগের জন্য হয়। ২. নিউরোজেনিক ইচ—এর উৎপত্তি মস্তিষ্কে, নানা রোগের জন্য হয়। ৩. নিউরোপ্যাথিক ইচ স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার জন্য হয়। কারণ, স্নায়ু আমাদের সব অনুভূতির জন্য দায়ী। ৪. সাইকোজেনিক ইচ—এই চুলকানির কারণ মানসিক সমস্যা। যেমন প্যারাসাইটোফোবিয়া থাকলে মনে হয় শরীরে পোকা হাঁটছে বা পোকা দেখলেই চুলকানি শুরু হয়।

চুলকানির শত শত কারণ আছে। আবার কোনো রোগ ছাড়াই চামড়া শুষ্ক হলেও, বিশেষ করে বয়স্কদের শীতকালে ত্বক চুলকায়। কৃমি সংক্রমণ, প্রসাধনী ব্যবহারে অ্যালার্জি, উলের কাপড় ব্যবহার, আবহাওয়া বা তাপমাত্রার পরিবর্তন কিংবা মানসিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণেও চুলকানি হতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন দুধ, ডিম, গরুর মাংস, চিংড়ি, মাশরুম, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি এবং বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলকানি হতে পারে। চর্মরোগের মধ্যে স্ক্যাবিস, ছত্রাক সংক্রমণ, একজিমা, অ্যালার্জি মূলত চুলকানির জন্য দায়ী। বিভিন্ন অঙ্গের রোগের জন্য যেমন লিভারের রোগ (জন্ডিস, হেপাটাইটিস, ক্রনিক লিভার ডিজিজ), কিডনির রোগ (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, ইউরেমিয়া), ক্যানসার (লিমফোমা) ও অন্যান্য রোগের বহিঃপ্রকাশ চুলকানির মাধ্যমে হতে পারে। ইনফেকশন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদিও চুলকানির জন্য দায়ী।

আমাদের দেশে বেশি চুলকানি হয় স্ক্যাবিস, একজিমা, অ্যালার্জি, আর্টিকেরিয়া ও দাউদের মতো রোগের জন্য। চুলকানি না সারলে ও তীব্র হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, এর পেছনে অনেক রকমের কারণ থাকতে পারে। নিজে নিজে অ্যান্টিহিস্টামিন কিনে খাওয়া ও মলম কিনে ব্যবহার করলে রোগের প্রকৃত কারণ শনাক্ত করতে দেরি হয়।

যা করবেন

যাঁদের চুলকানি আছে, তাঁরা সাধারণ কিছু নিয়ম মানলে উপকার পাবেন। যেমন বেশি রোদে না যাওয়া, ঘাম হলে দ্রুত মুছে ফেলা, যেসব খাদ্যে, ওষুধে, কাপড়ে, প্রসাধনীতে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকা। মাঝেমধ্যে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়া। শুষ্ক ত্বকে নিয়মিত ইমোলিয়েন্ট ক্রিম, ভালো ময়েশ্চারাইজার, অলিভ অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করা।

চুলকানি কমানোর জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন খেতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। তবে উচিত হলো চুলকানির কারণ নির্ণয় করে নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসা করা।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status