ইইউ রাষ্ট্রদূতের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() ইইউ রাষ্ট্রদূতের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন সফরকালে রাষ্ট্রদূত মিলার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। কীভাবে যৌথ গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা যায় এবং উচ্চশিক্ষা খাতে ইইউ-এর সহায়তা আরও জোরদার করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। শিক্ষাকে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করেন রাষ্ট্রদূত মিলার। তিনি এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্টনারশিপ আমাদের উদ্ভাবন ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করছে। সেই সাথে এটি আমাদের আগামীর যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশেষ করে সাস্টেইনিবিলিটি, গবেষণা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চাই। রাষ্ট্রদূত মিলারের এই সফরকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান ব্র্যাক ইউনিভাসির্টির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। তিনি বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি গ্লোবাল সাউথের শীর্ষ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে। আমরা এমন ভবিষ্যৎনির্ভর ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যারা টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করবে”-তিনি বলেন। প্রফেসর ফারহাত আরও বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও ব্র্যাক-এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আমাদের ফলপ্রসু শিক্ষা ও গবেষণাকে আরো এগিয়ে নিতে সহায়তা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশলগত সহযোগী হয়ে আমরা বৈশ্বিক সম্পৃক্ততা আরও নিবিড় করতে চাই। সেই সাথে বাংলাদেশের অ্যাকাডেমিক ও গবেষণা পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। এই সফরে রাষ্ট্রদূত মিলার “লেটস টক উইথ ইউ অ্যাম্বাসেডর-ইউ-বাংলাদেশ রিলেশন্স ইন অ্যা চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড: ইয়ুথ পার্সপেক্টিভ অন পার্টনারশিপ অ্যান্ড প্রগ্রেস” শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন। এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা সরাসরি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তারা শিক্ষা সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বৈশ্বিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাদের ভাবনা ও প্রশ্ন তুলে ধরেন। আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনজুর হাসান, ওবিই। এই সময় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, অফিস অফ কমিউনিকেশন্স এর ডিরেক্টর খায়রুল বাশারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, রাষ্ট্রদূত মিলার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্কলারশিপ অফিস।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |