ডিমলায় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() ডিমলায় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফ-উল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান, সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ডিআর জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সরকার, নাউতারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, সদর ইউনিযন যুবদল সভাপতি সোহাগ খান লোহানী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান সবুজ, সদস্য সচিব আলমগীর কবির, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের আহবাযক বাবু উৎপল কান্তি সিং, সদস্য সচিব জ্যোতি রঞ্জন রায, মহিলা দলের সভা নেত্রী নুর জাহান পারভীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অবিলম্বে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। তারা বলেন, ১/১১ ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের রোষানলে পড়ে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন দীর্ঘ ১৮ বছর বিদেশে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রয়োজনে গণআন্দোলনের মাধ্যমে তাদের প্রিয় নেতা তুহিনের মুক্তি নিশ্চিত করা হবে। তারা আরও বলেন, তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ইতিমধ্যে নীলফামারীসহ বৃহত্তর রংপুর বিভাগে আন্দোলনের লেলিহান শিখা জ্বলে উঠেছে এবং দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর রংপুর বিভাগে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন ঢাকার পৃথক দুটি মামলায় বিশেষ জজ আদালতে তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মস্মর্পণ করেন। প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর কিছুক্ষণ পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।''জানা যায়, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে আদালত তাকে দুটি ধারায় মোট আট বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। যা একত্রে পাঁচ বছর হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তাকে ২০০৮ সালে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। দীর্ঘ ১৮ বছর পর তিনি আদালতে আত্মস্মর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর কওে কারাগাওে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |