পরিবেশ সংরক্ষণ-মানবাধিকার সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() পরিবেশ সংরক্ষণ-মানবাধিকার সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির বিপ্লবী মহাসচিব মো: মুক্তার আহমেদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম পাখি এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি অন্যান্য সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এম এ হোসেন রানা, নকী মিডিয়া লিমিটেড'র চেয়ারম্যান কে. এম. মাসুদুন্নবী নুহু, শেখ আলী আব্বাস, আব্দুস সালাম, আলামিন খান সাগর, রুমানা, নার্গিস আরা, ঈশান মল্লিকা, বিনা আক্তার, রিয়া আক্তার প্রমুখ। এবারের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্লোগান, ‘সাহসী নতুন বিশ্বে রিপোর্টিং স্বাধীন গণমাধ্যমে এআই এর প্রভাব’। ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম কর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছে। এই দিবসটিতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ নেওয়ার পাশাপাশি ত্যাগী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়। স্বাধীন গণমাধ্যমের কন্ঠরোধের জন্য করা সকল কালো আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রতি বছর ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থেকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক প্রকাশ করে। আরএসএফের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এ সূচক প্রকাশ করছে সংগঠনটি। চলতি বছর ১৬৫ থেকে ১৪৯তম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ। নেতারা বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নতি খুবই আশাব্যঞ্জক খবর। আমাদের আরো উন্নতির জায়গা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে নানা ধরনের ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যেও বাংলাদেশের সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটেছে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ, পরিবেশন, প্রচার, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সাংবাদিকদের সক্ষমতার ক্ষেত্রে গুণগত অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কোনো প্রতিষ্ঠানেই সাংবাদিকদের প্রাতিষ্ঠানিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় কোনো কার্যকর কাঠামো গড়ে ওঠেনি।যার ফলে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার ঝুঁকি একটুও কমেনি। আগে থেকেই দাঙ্গা-বিক্ষোভে কখনো পুলিশ, কখনো বিবাদমান পক্ষের হাতে মার খাচ্ছেন।মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গুম বা অপহরণ হচ্ছেন, এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছেন। রেহাই পাচ্ছেন না সম্পাদকরাও। নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী কিছু আইন। দেশের সংবিধানে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া হলেও অনেক আইন আছে, যা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে ব্যবহৃত হয়।সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে আইন থাকলেও তাদের সুরক্ষার কোনো আইন নেই। কালো আইন অব্যাহত রেখে স্বাধীন সাংবাদিকতা আশা করা যায় না।গণমাধ্যমের কালআইন বাতিল ও স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান সংস্থার নেতারাকর্মীরা । সভাপতির বক্তব্য কন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো: মোক্তার আহমেদ বলেন বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা এই দিবসটি পালন করে থাকেন সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, সর্বমহলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনউৎসর্গকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। আরো বলেন সাংবাদিকরা জাতির চতুর্থ স্তম্ভ তারা তাদের সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছে না, তারা সত্য ঘটনা তুলে ধরলে হামলা মামলা ভয় ভীতি এবং নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে হয়। আরে আমরা চাই সাংবাদিকের কলম মুক্ত থাকবে সাংবাদিকরা যাই দেখবে তাই মুক্তভাবে লিখবে। তাদের সাথে যেন কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করা না হয়। তাহলেই সাংবাদিকদের অধিকার আদায় হবে এবং বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা দিতে হবে এবং তাদের পেশার মূল্যায়ন করতে হবে এই হোক এবারের মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রতিজ্ঞা।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |