খালেদা জিয়ার ফ্লাইটে কী হতে যাচ্ছিল?
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() খালেদা জিয়ার ফ্লাইটে কী হতে যাচ্ছিল? সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং আওয়ামী সম্পৃক্ততা পাওয়ার গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে শুক্রবার (২ মে) রাতে আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপোন নামে বিমানের দুই কেবিন ক্রুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, আগে থেকেই সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা থেকে শনিবার সকালে যে ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ওই ফ্লাইটটি রোববার সন্ধ্যায় হিত্রো এয়ারপোর্ট থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করবে। শনিবারের লন্ডন ফ্লাইটে যেসব পাইলট এবং কেবিন ক্রু যাবেন তারাই রোববার খালেদা জিয়ার ফ্লাইটে দায়িত্ব পালন করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই ফ্যাসিস্ট এবং আওয়ামী সরকারের দোসর কেবিন ক্রুরা তৎপর হয়ে ওঠে ওই ফ্লাইটে যাওয়ার জন্য। কিন্তু বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আওয়ামী সুবিধাভোগী কেবিন ক্রুদের একটি সিন্ডিকেট চক্র শুক্রবার (২ মে) দুপুরে ওই ফ্লাইটে তাদের যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে শুক্রবার গভীর রাতে গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের দোসর কেবিন ক্রু ফ্লাইট পার্সার আল কুবরুন নাহার কসমিক এবং জুনিয়র পার্সার মো. কামরুল ইসলাম বিপোনকে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আল কুবরুন নাহার কসমিক বিগত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে নিয়মিত শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা করতেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনার এপিএস গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতাও ছিল। চাকুরী জীবনে বিভিন্ন অপরাধে কসমিক ১৮ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন এবং বিভিন্ন সময় একাধিকবার গ্রাউন্ডেড হয়েছেন। অন্যদিকে, জুনিয়র পার্সার কামরুল ইসলাম বিপোন গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৫ আগস্ট পালনের জন্য নিয়মিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতে যেতেন। শেখ কামালের জন্মদিনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজক এবং শেখ রাসেল দিবস পালনেরও অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি। বিমানের ফ্লাইট সার্ভিসের প্ল্যানিং এন্ড সিডিউলিংয়ের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার সীতারা নাসরিন নিশির সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই কসমিক এবং বিপোনকে খালেদা জিয়ার ফ্লাইটে ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |