চার মাসে ক্ষতি লাখে, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে ফেরি বন্ধের রহস্যজাল!
মোঃ মাহবুবুল হাসান, চিলমারী
|
![]() চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে ফেরি বন্ধের রহস্যজাল! স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর একটি চক্র ব্রহ্মপুত্র নদের বালু অবৈধভাবে উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। ফেরি চলাচল বন্ধ রেখে নৌকা মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে কমিশন বাণিজ্যও চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ফেরি বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে সংস্থাটিকে। নষ্ট হচ্ছে ফেরির ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশও। চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে রৌমারীর ফলুয়ার চর ঘাটের ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এখন যাত্রীদের নানা কষ্ট সইতে হচ্ছে। ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ফেরি চালু হওয়ার পর থেকেই রুটটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। কিন্তু নাব্যতা সংকটের অজুহাতে বারবার বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ফেরি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে বালুবোঝাই ট্রাক্টর ও ডাম্পার চলাচলে রৌমারী ঘাটও মারাত্মক ক্ষতির মুখে। ফেরি বন্ধ থাকায় উত্তরাঞ্চলের যানবাহনগুলো এখন অতিরিক্ত ১৫০ কিলোমিটার ঘুরে যমুনা সেতু হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে, যা সময় ও খরচ দুটোই বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, রমনা ঘাট থেকে ফেরি ফকিরেরহাট ঘাটে স্থানান্তর এবং নাইট নেভিগেশন চালু করা হলে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। ফকিরেরহাট ঘাটের ট্রাকচালক লোকমান হোসেন বলেন, “এই রুটে ফেরি চালু হলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে এটা বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে মনে হয়।” স্থানীয়দের অভিযোগ, উত্তরাঞ্চলের উন্নয়ন ঠেকাতেই এই রুটে ফেরি সচল রাখা হচ্ছে না। এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক নাব্যতা সংকটের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “বর্তমানে পানি বাড়ায় ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা নেই। তবে রৌমারী ঘাটে বালুবোঝাই যান চলাচলের কারণে ক্ষতির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।” অন্যদিকে, বিআইডব্লিউটিসি চিলমারী অঞ্চলের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, “নাব্যতা সংকটের কারণেই ২৩ ডিসেম্বর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ‘কদম’ ও ‘কুঞ্জলতা’ নামে দুটি ফেরি প্রস্তুত আছে। পানি বাড়ায় ফেরি চালু করার প্রস্তুতি চলছে। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |