গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িতের দায়ে পোষাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন সভাপতিকে বহিষ্কার
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িতের দায়ে পোষাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন সভাপতিকে বহিষ্কার জানা যায়, তার বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে লাইভ ভিডিও প্রচার-সহ সংগঠনের বিধি বহির্ভূত নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সেসব অভিযোগ পর্যালোচনা করে যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবগত করে নির্বাহী কমিটি সংগঠন সংশ্লীষ্টদের এ সিদ্ধান্ত সংগঠনের এক লিখিত পত্রে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন তুহিন চৌধুরীকে। পত্রের বরাতে জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৬জানুয়ারি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকাশ আহাম্মেদ বাবুলের নিকট আপনার সাক্ষরিত নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। যে পত্রটি ডাক যোগে একই বছরের ২ফেব্রুয়ারি ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। এবং ৭ফেব্রুয়ারি কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে আপনার প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি প্রকাশের অনুরোধ করা হয়। পত্রে আরো বলা হয় উল্লেখিত সময়ের মধ্যে লিখিত বা মৌখিক কোন প্রকার জবাব দেননি সভাপতি তুহিন চৌধুরী। বরং সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে লাইভ ভিডিও প্রকাশ পরবর্তী মনমত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করেন। যার ফলে গত ২৮ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভায় সাধারণ কাউন্সিল ও নির্বাহী কমিটি ২১মার্চ পর্যন্ত তার সকল কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করে পত্র পাঠায়। পরবর্তীতে তুহিন চৌধুরীর সার্বিক কার্যক্রম কমিটির অন্যান্যদের বিবেচনায় সর্বসম্মতিক্রমে তিনি তার পদে বহাল থাকার অযোগ্য বলে বিবেচিত হন। এর ফলে ২১মার্চ শ্রম অধিদফতরকে অবগত করে সংগঠনটির গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ২০ (ঘ) ২৫,২৬ ও ২৮ ধারা অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় তুহিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। প্রস্তাবটি নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা ও মোহাম্মদ আজাদ এই অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করেন। পরবর্তীতে কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠদের কণ্ঠ ভোটে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় তুহিন চৌধুরীকে সংগঠনের সভাপতি পদসহ সকল কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। যা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলেও পত্রে উল্লেখ করা হয়। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |