চট্টগ্রামে মেগা প্রকল্পের কাজের ধীরগতি, নগরবাসীর ব্যাপক দুর্ভোগ
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() চট্টগ্রামে মেগা প্রকল্পের কাজের ধীরগতি, নগরবাসীর ব্যাপক দুর্ভোগ এক পথচারী বলেন, "এখানে কোনো নিরাপত্তা নেই। কিছুদিন আগে একটি ভারী লোহার অংশ ওপর থেকে পড়ে গিয়েছিল।" অন্য একজন বলেন, "বিভিন্ন নির্মাণ কাঠামো রাস্তার পাশে পড়ে থাকে, আর আমরা নিচ দিয়ে চলাচল করতে ভয় পাই।" এছাড়া, হালিশহর, বড় পোল, পাঠানটুলি ও আগ্রাবাদসহ বেশ কিছু এলাকায় ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ চলছে। এই দীর্ঘস্থায়ী প্রকল্পগুলোর কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকল্পের কিছু কাজ শেষ হলেও সড়ক মেরামত না করার কারণে নাগরিকদের ভোগান্তি আরও বাড়ছে। একই সময়, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প এবং সিটি কর্পোরেশনের নালা-নর্দমার সংস্কার কাজও চলমান। বর্ষা মৌসুমের কাছাকাছি আসায় নাগরিকরা উদ্বিগ্ন, কারণ এসব প্রকল্প শেষ না হলে তাদের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "রাস্তাঘাট ঠিক না করার কারণে প্রতিদিন যানজটে আটকে থাকতে হয়। ধুলাবালির কারণে বাচ্চাদের নিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর।" সেবা সংস্থাগুলোর নীতি-নির্ধারকরা স্বীকার করেছেন যে, প্রকল্পগুলোর ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে, তবে তারা দ্রুত প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন। চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, "আমরা ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি, যাতে জনভোগান্তি কমে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুত হয়।" চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শাম বলেন, "আমরা কাজগুলো যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার জন্য কাজ করছি এবং রাতদিন কাজ চলমান রয়েছে।" সিডিএ’র এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প ২০১৮ সালে শুরু হয়, ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প ২০২২ সালে শুরু হয়, এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের বিভিন্ন প্রকল্প প্রায় এক দশক ধরে চলমান রয়েছে, যা চট্টগ্রামের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |