ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ ১৩ চৈত্র ১৪৩১
৬১ বছর বয়সে এই নারী কীভাবে কন্যার পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Thursday, 6 February, 2025, 12:53 PM

৬১ বছর বয়সে এই নারী কীভাবে কন্যার পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন

৬১ বছর বয়সে এই নারী কীভাবে কন্যার পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন

ক্রিস্টিনা কেসির বয়স এখন ৭৫। সম্প্রতি তিনি ও তাঁর কন্যা সারা জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন টক শো ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’র অতিথি হয়ে তাঁদের জীবনের এমন এক সত্য প্রকাশ করেছেন, যা বিশ্বে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ২০১১ সালে ৬১ বছর বয়সে তিনি তাঁর ‘নাতি-পুত্র’ ফিনেন লিকে (ডাকনাম ফিন) জন্ম দেন! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। ফিনের মা সারা কনেল ক্রিস্টিনা কেসির কন্যা। আর ফিনের বাবা বিল কনেল ক্রিস্টিনার জামাতা।

ক্রিস্টিনা কেসির মেনোপজ শুরু হয় ৫১ বছর বয়সে। তারও প্রায় ৩০ বছর আগে তিনি মা হয়েছিলেন। তাঁর একমাত্র কন্যা সারা কনেল সন্তান গর্ভধারণে শারীরিকভাবে অক্ষম ছিলেন। তাই ক্রিস্টিনা সারোগেট মাদার হিসেবে মেয়ের সন্তানকে জন্ম দেন ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) মাধ্যমে।

এ ক্ষেত্রে কন্যা সারা কনেলের ডিম্বাণু ও বিল কনেলের শুক্রাণু নিষিক্ত করে ভ্রূণ স্থাপন করা হয়েছিল ক্রিস্টিনা কেসির জরায়ুতে। ক্রিস্টিনা মূলত ‘গর্ভ ভাড়া’ দিয়েছেন। এ জন্য তাঁকে হরমোন সাপ্লিমেন্টেশনের সহায়তা নিতে হয়েছে। পূর্ণ মেয়াদে অর্থাৎ প্রায় ১০ মাস তিনি তাঁর নাতি-পুত্রকে গর্ভে ধারণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর প্রেন্টিস উইমেনস হসপিটালে সি সেকশনের মাধ্যমে কন্যার পুত্রসন্তানের জন্ম দেন নানি ক্রিস্টিনা।

ক্রিস্টিনা ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, মেয়ের সন্তান না হওয়ার কষ্ট তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন। এ কারণে তাঁর মনটাও খুব পুড়ছিল। একের পর এক মিসক্যারেজের ফলে কন্যা সারা শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ক্রিস্টিনা তাঁর কন্যাকে যেকোনো মূল্যে সাহায্য করতে চাইছিলেন।

ক্রিস্টিনা জানান, নিজের সবচেয়ে আপনজন বা ভালোবাসার মানুষকে সাহায্য করতে পারার অনুভূতির সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। অন্যদিকে সারা বলেন, ‘এটা আমার জীবনের সবচেয়ে দুর্দান্ত ঘটনা। আমার কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’

ক্রিস্টিনা বলেন, ‘আমি এখনো আমার শরীরে ওর (ফিনের) হৃৎস্পন্দন অনুভব করতে পারি। ওকে জন্ম দেওয়ার পর নিজেকে নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী অনুভব করেছি।’

ফিনের জন্মের পর নানি ক্রিস্টিনা বেবিসিটার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সেটি ছিল ক্রিস্টিনার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় সময়। 

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status