গাজীপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল গংদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী সৈয়দ রিয়াজুল করীমের নিকট থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে, হত্যা চেষ্টার মূল হোতা গাজীপুর সিটির সাবেক পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, তার প্রধান সহযোগী অতিরিক্ত কমিশনার দেলোয়ার হোসেন ও ওসি ডিবি জাহিদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর সৈয়দ আজমুল হক, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো: মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মনিরুল ইসলাম মনির, ঢালী মো. সুমন মাষ্টার, রাজু আহমেদ রাজ, সৈয়দ আনিসুর রহমান টিটু সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ভুক্তভোগী তার বক্তব্যে বলেন, গাজীপুরস্থ নীট সিটি লিমিটেড বিল্ডিং মালিকের অবৈধ ঝুট ব্যবসা দাবি করায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিজ্ঞ আদালতে বিল্ডিং মালিকদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করে এবং বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। পরবর্তীতে বাড়ী ভাড়া বকেয়া থাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মাধ্যমে সমাধান হওয়ার পরে তখনকার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল কর্মরত থাকা অবস্থায় তাঁর যুগ্ম কমিশনার মোঃ দেলোয়ার হোসেন কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও বিল্ডিং মালিকদেরকে দিয়ে চলন্ত ফ্যাক্টরী তালাবদ্ধ করে ২ (দুই) কোটি টাকা অবৈধভাবে দাবি করেন। শাহ নেওয়াজ নামের এক লোকের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা নেওয়ার পরে ফ্যাক্টরী না খুলে পুনরায় বিল্ডিং মালিকদের সালিশ করে ফ্যাক্টরি খুলে দেয়ার আশ্বাসে ৫০,০০০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা নির্ধারণ করে। ফ্যাক্টরী খুলে দেওয়ার জন্য ওসি ডিবি জাহিদ ৫০,০০০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা গ্রহণ করে। তিনি আরো বলেন, ফ্যাক্টরি খুলে দেয়ার জন্য ওসি ডিবি জাহিদ গত ১৮/০৩/২০২৩ইং তারিখ সকাল ৮.০০ ঘটিকায় ফ্যাক্টরিতে যেতে বলেন। সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বিল্ডিং মালিক খাইরুল ইসলাম সন্ত্রাসী লোকজনসহ অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে হামলা চালায় এবং হামলার পরে মৃত মনে করে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক বাসন থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। তিনি আরো বলেন, হসপিটালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ফ্যাক্টরির সমস্ত মালামাল, মেশিনারিজ ও ফায়ার পাম্প জেনারেটরসহ সমস্ত সরঞ্জাম তাৎক্ষণিক লুট করে নিয়ে যায়। আনুমানিক মূল্য ১৫ (পনের) কোটি টাকা। কর্মচারী মোঃ রফিকুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করলে থানা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেননি। বিগত ১২/০৮/২০২৪ তারিখ সিনিয়র সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করলে উপকমিশনার দেলোয়ার হোসেনের বন্ধু ইলিয়াস খানের মাধ্যমে ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে সমাধানের জন্য বসে। ফ্যাক্টরির মালামাল উদ্ধার এবং টাকা ফেরত দেয়ার মৌখিক অঙ্গীকার করে অভিযোগটি তুলে নেয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে দেলোয়ার সবকিছু অস্বীকার করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ওসি ডিবি জাহিদ বর্তমান কর্মস্থান নৌ পুলিশকে ফোনে যোগাযোগ করলে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডিশনাল ডিআইজি দেলোয়ার হোসেন নতুন সময়কে বলেন, এ বিষয়ে একাধিকবার আমার সাথে কথা হয়েছে। উনি যা কিছু করে করুক, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |