ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ ২৭ আশ্বিন ১৪৩১
কোনাবাড়িতে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-৭
ফাহিম ফরহাদ
প্রকাশ: Tuesday, 1 October, 2024, 5:45 PM

কোনাবাড়িতে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-৭

কোনাবাড়িতে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-৭

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন, রফিক ও সিয়াম।

স্থানীয়রা জানায়, কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় এসট্রো নীট ওয়্যার লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝুট ব্যবসা করে আসছিলেন। সরকার পতনের পর ওই কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করে গাজীপুর মহনগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সালাউদ্দিন ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান। 

মঙ্গলবার সকালে ওই কারখানা থেকে ঝুটের মালামাল বের করতে যায় তাদের লোকজন। এসময় একই ওয়ার্ডের সাবেক বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে 
বিএনপি কর্মী আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল, রফিক, সিয়াম বাবুল, তৈয়ব আলী-সহ ১০/১৫ জন তাদের বাঁধা দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে সালাউদ্দিন, বিপ্লব খান, পাভেল হোসেন, পলাশ মিয়া, রিজভি শহিদুল,-সহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। 

এতে আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, জহিরুল খন্দকার, বাবুল হোসেন, রফিক, সিয়াম, বাবুল, তৈয়ব আলী-সহ মারাত্মক জখম হয়ে আঘাত প্রাপ্ত হন। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। এছারা কয়েকজন স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে ৭ নস্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদল নেতা আরিফ খান জানান, ওই কারখানায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে ঝুট ব্যবসা করে। তাদের বাঁধা দিতে গিয়েছিল বিএনপির আরেকটি দল। তখন উভয় গ্রুপে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সালাউদ্দিন ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা ফোন রিসিভড করেননি।

এ বিষয়ে কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের মুঠো ফোনে এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিটিংয়ে আছি আপনাকে পরে কল দিবো।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status