পাথরঘাটায় শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক হলেন জামায়াতের উপজেলা আমীর শামীম আহসান
ইব্রাহীম খলীল, পাথরঘাটা
প্রকাশ: Tuesday, 1 October, 2024, 3:36 PM
বরগুনার পাথরঘাটায় বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটিতে কিরণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাথরঘাটা উপজেলা আমীর মো. শামিম আহসানকে আহ্বায়ক ও চরদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের আহ্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সস্মেলন কক্ষে এ কমিটি গঠন করা হয়। সর্ব সম্মতিক্রমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পাথরঘাটা উপজেলা আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক এ কমিটি ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আবু জাফর মো. সালেহ, পাথরঘাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এম কামরুল ইসলাম, পাথরঘাটা পৌর বিএনপির আহবায়ক মো. হারুন-অর রশিদসহ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলো, রূপধন বন্দর আমিরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম কবির, মাদারতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান, এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফেরদৌস খানকে যুগ্ন-আহবায়ক ও তালুকের চরদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল আলম, নাচনাপড়া মানিকখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মো. আবু সালেহ, কিরণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বিধান চন্দ্র গয়ালী, লেমুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাও. ইমরান হাসান জিয়া, কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. সেলিম মিয়া, কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মতিউর রহমানকে সদস্য করা হয়।
নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মো. শামীম আহসান বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। তাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি কোন রাজনৈতিক দলের দোসর কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না, ব্যাক্তি হিসেবে যে কেউ রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও তা যেন কমিটির ওপরে কোন ধরনের প্রভাব না পড়ে, কারন এ কমিটির মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষকদের মানোন্নয়ন ও দাবিসহ যে কোন সমস্যা সমাধান করে শিক্ষা বিভাগ এগিয়ে নেয়া। তিনি আরও বলেন, পূর্বে আমরা দেখেছি যে ফায়দা নিতে, হয় রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষকদের ব্যবহার করেছে, আবার স্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষকরা রাজনৈতিক দল বা নেতাদের সাথে মিলে সমিতিকে কলঙ্কিত করেছে, তাই পূর্বের মত যেন আমাদের কোন রাজনৈতিক দলের টার্গেট বা হাতিয়ার হতে না হয় সেরকম সকল দিকে খেয়াল রেখে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও তিনি বলেন যে, আমি গত ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি, আবারো যখন দায়িত্ব এসেছে শিক্ষকদের পাশে থেকে সুনামের সাথে সমিতির দায়িত্ব পালন করতে চাই।