সোনারগাঁয়ে কাশফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে উপভোগ করতে আসেন হাজারো প্রকৃতিপ্রেমিরা
তৌরব হোসেন,সোনারগাঁও
|
কাশফুলের শুভ্রতা আর নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের ভেলা।প্রকৃতি যেন তার রূপের সবটা শরৎকালকে দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে ৷কাশফুলের কারণে হয়তো শরৎকালকে মনে পড়ে বারবার ৷শরৎ এলেই নদ-নদীর পাড়ে ফুটতে শুরু করে কাশফুল। এই কাশফুলের শুভ্র হাসিই জানান দেয় শরৎ এসেছে। শরৎকালে কাশফুল দেখার অনুভূতি যে কারো মনে জাগতে পারে ৷আর এই সৌন্দর্য উপভোগের জন্য মানুষ ছুটে আসেন নদ-নদীর পাড়ে, বালুর চরে ফুটে থাকা কাশবনে। ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুরই রয়েছে আলাদা পরিচয়।বাংলায় ভাদ্র-আশ্বিন এ দুই মাস মিলেমিশে শরৎ ঋতু। ৷কাশফুলের জন্য শরৎকাল বিখ্যাত ৷ প্রকৃতিতে বর্ষা শেষে আগমন ঘটে এই শরতের। নীল আকাশে সাদা মেঘ আর হাওয়ায় দুলতে থাকা কাশফুল মনে করিয়ে দিচ্ছে এখন চলছে শরৎকাল। বসন্তের মতো রূপের জৌলুস না থাকলেও শরতের আছে আকাশজুড়ে সাদা মেঘের বাহার। সেইসঙ্গে নদীর রুপালি সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে চোখ জুড়ানো কাশবন। হাওয়ায় উড়ে বেড়ায় কাশফুল।প্রতিবছরে শরৎ এসে বাঙালির মনে দেয় শুভ্রতা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপ্রেমী মানুষেরা ছুটে এসেছে সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর ও কান্দারগাঁওয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীর চর৷ সময়টাকে উপভোগ করার পাশিপাশি ক্যামেরাবন্দি করে রাখছে দর্শনার্থীরা। এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সেলফি তোলা নিয়ে ব্যস্ত তরুণ-তরুণীরাও।কেউ কেউ প্রিয় মানুষকে নিয়ে কেউ পরিবার নিয়ে কেউ বন্ধুদের নিয়ে কেউ বিনোদনে মেটে উঠেছেন। জানা গেছে,দূর থেকে দেখে মনে হবে বিশাল আকৃতির চাদর বিছিয়ে রাখা হয়েছে ৷প্রায় ২২০ একর মেঘনা নদীর চরজুড়ে দেখা যায় কাশবন ৷ ঘুরতে আসা দর্শনার্থী রুমা বলেন, চারদিকে গড়ে উঠছে শিল্প কারখানা ৷একটা সময় বাড়ির আশেপাশে দেখা যেত এ কাশফুল কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসেছে শরতের এই কাশফুল ৷ একটা সময় বিভিন্ন জায়গায় কাশবনের কাশফুল গুলো দলো খেত মৃদু বাতাসে, এখন তেমন দেখা যায় না, তাই অনেকদিন পর পরিবার নিয়ে কাশফুল হাওয়াতে ঘুরতে এসেছি ভালো লাগছে অনেক ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলায় আর কোথাও এত বড় কাশবন খুঁজে পাওয়া যাবে না ৷ কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে শরৎকালে সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর ও কান্দারগাঁওয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীর চরে প্রতিবছর কয়েক হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রকৃতির এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |