কুড়িগ্রামে ভারত থেকে আমদানি করা ১৯৭ মে.টন কয়লা নিয়ে বিপাকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
|
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভারত থেকে আমদানি করা ১৯৭ মে.টন কয়লা নিয়ে বিপাকে কুড়িগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আর.কে ড্রেজিং এন্ড কনস্ট্রাকশন। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি সংবাদ সম্মেলন মাসুদ কবির রানা বলেন, ভারত থেকে চলতি বছরের ৫ জুন আমদানীকৃত ১৯৭ মেট্রিক টন কয়লা একটি বাল্কহেড করে নিয়ে আসি। যার সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত ভ্যাট, ট্যাক্স, এ.আই.টিসহ সরকারের যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধত করা হয়েছে। বাল্কহেডটি চিলমারী ফকিরেরহাট ঘাটে আসলে সরকারী যাবতীয় নিয়ম মেনে কয়লা আনলোড করতে শুরু করি। কয়লা আনলোড করতে গেলে বাল্কহেডের মুল মালিক মো. আনোয়ার হোসেন কয়লা আনলোড করতে বাঁধা দেয়। বাল্কহেডের ভাড়াটে মালিক মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মূল মালিক আনোয়ার হোসেনের লেনদেন থাকায় কয়লা আনলোড করতে বাঁধা দেয়া হয়। তারপর বাল্কহেডটি কয়লাসহ জোরপূর্বক কাঁচকোল ঘাটে নিয়ে আসেন তারা। এরপর পণ্য খালাসের বিষয়ে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বৈঠক করে কোন সুফল না পাওয়ায় চিলমারী মডেল থানা এবং জেলা প্রশাসকের নিকট ১৫ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ করার ১১ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। মাসুদ কবির রানা আরও উল্লেখ করে বলেন, এই সময়টিতে বাল্কহেডে দায়িত্বরত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. নুর হোসেনকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে (ম্যানেজার) হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাল্কহেডসহ নিয়ে যায় বাল্কহেডের মালিক ও তার লোকজন। এরপর বাল্কহেডটি কড়াই বরিশাল এর আগে একটি চরে আটকে যায়। নৌ-পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত কারণে বাল্কহেডের ম্যানেজারকে ঘটনাস্থলে রেখে চলে আসে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি জেলা প্রশাসন থেকে সমাধানের জন্য জোরদাবী জানান হয়। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |