ভারত থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে কুড়িগ্রামে আবারও বন্যার আশংকা
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
প্রকাশ: Sunday, 29 September, 2024, 7:39 PM
ভারত থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে কুড়িগ্রামে আবারও বন্যার আশংকা রয়েছে। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বেড়েছে। নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই ইতোমধ্যে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ধানক্ষেত, পাটক্ষেত, বাদামক্ষেত, মরিচক্ষেতসহ সবধরনের সবজি বাগানও ফসলিক্ষেত।
আকস্মিক পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় তুমুল ভাবে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। নদীভাঙন থেকে ঘরবাড়ি রক্ষা করার জন্য নদীতীরবর্তী স্থানীয়রা বিভিন্ন গাছগাছালি কেটে ভাঙন ঠেকাতে না পারায় আতঙ্কে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বন্যার আশংকা রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার, জিঞ্জিরাম সহ সকল নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। আজ রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার দিকে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভবনা নেই।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হটাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদী তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ০৬ টি ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি এবং গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গেছে। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশ্যাম গ্রামের প্রায় ০৬ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ০৩ শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমি ফসলের ক্ষেতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।