ইরানের কারাগারে ফাঁসির প্রতিবাদ, সংঘর্ষে আহত নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদি
নতুন সময় ডেস্ক
|
ইরানের রাজধানী তেহরানের আলোচিত এভিন কারাগারে রক্ষীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে ইরানে গোলামরেজা রাসেয়িসহ প্রায় ৩০ বন্দীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গোলামরেজা রাসেয়ির ফাঁসির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক মারামারি–সংঘর্ষ হয়। ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ২০২২ সালের বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এই মারামারিতে আহত হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি ও কয়েকজন নারী বন্দী। নার্গিসের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এভিন কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন নার্গিস। এই ঘটনায় কারাবন্দী নার্গিসের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার এভিন কারাগারে মারামারির কথা স্বীকার করেছে। মারামারির ‘উস্কানিদাতা’ হিসেবে নার্গিস মোহাম্মদিকে উল্লেখ করছে তারা। তবে বন্দীদের মারধর করার কথা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। নার্গিসের বয়স ৫২ বছর। ২০২৩ সালে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। ইরানে মৃত্যুদণ্ড ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করায় তিনি সম্মানজনক এ পুরস্কার পান। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে নার্গিস কারাগারে আটক। তবে এর আগে গত এক দশক ধরে বিভিন্ন সময় তাকে আটক করা হয়েছে। মুক্তিও দেওয়া হয়েছে। নার্গিসের পরিবারের সদস্যরা ফ্রান্সের প্যারিসে বসবাস করেন। তাদের অভিযোগ, নার্গিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। এমনকি ফোনে কথা বলারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে অন্যান্য বন্দীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কারাগারের ভেতরের এই ঘটনা শুনেছেন তারা। ফাঁসি কার্যকরের ঘটনার পর কারাগারে থাকা নারী বন্দীরা কারা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |