বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বুধবার সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এমন ভয়ানক অন্ধকার পরিস্থিতিতে সারাদেশে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে, জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি ঘোষণা করছে।’ কর্মসূচি পালনের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণ, শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙ্কন/গ্রাফিতি, দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোট্রেট তৈরি প্রভৃতি।’ এর আগে বুধবার মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশ তাদের দাঁড়াতে দেয়নি। কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও হয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এক পর্যায়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু হতাহত হন। সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ১৫০ আর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, দেশজুড়ে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ২৬৬ জন। সহিংসতার এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তোলা এবং অনলাইনে ব্যাপক প্রচার কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক। লিখিত ও ভিডিও বার্তায় তারা সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিও জানান। এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ও সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানান ৬ সমন্বয়ক। লিখিত বার্তাটিত সই করেন মো. নাহিদ ইসলাম, মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম। এতে বলা হয়, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতিমধ্যে সরকার পূরণ করেছেন। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’ তবে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ এখনও নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। তাদের দাবি, ডিবি কার্যালয়ে ব্ল্যাকমেইল করে সমন্বয়কদের দিয়ে বার্তা পাঠ করানো হয়েছে।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |