অনুকরণীয় হয়ে ওঠা, খ্যাতির শিখরে পৌঁছানো ব্যক্তিদের মতো তারকাদের জীবনেও থাকে অনেক উত্থান-পতন ও সংগ্রামের গল্প। তা মনে করিয়ে দিতেই এবার জীবনকাহিনি পর্দায় তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছেন বলিউড তারকা নোরা ফাতেহি।
বিশ্বজুড়ে এখন যার পরিচিতি বলিউড তারকা হিসেবে, সেই নোরা আদৌ ভারতীয় নন। মরক্কো বংশোদ্ভূত এ নৃত্যশিল্পীর জীবনের একটি অংশ কেটেছে কানাডায়। সেখানে থেকে কীভাবে তিনি মুম্বাই এসে আজ বলিউডের নোরা ফাতেহি হয়ে উঠেছেন, সে গল্প তুলে ধরতেই নির্মাণ করা হচ্ছে একটি তথ্যচিত্র; যার উদ্যোক্তা অভিনেত্রী নিজেই।
এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নোরা বলেছেন, ‘তারকাদের পর্দা আর বাস্তব জীবন এক নয়। কেউ হয়তো সহজেই সাফল্যের দেখা পান। কারও আবার পায়ের তলার মাটি শক্ত রাখতে বছরের পর বছর সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়। সেসব তারকার মধ্যে আমিও একজন, যাকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে চলচ্চিত্র জগতে শক্ত অবস্থান গড়ে নিতে হয়েছে। পকেটে মাত্র ৫ হাজার টাকা ছিল, যখন আমি কানাডা থেকে ভারতে এসেছিলাম। উঠেছিলাম একটি তিন কামরার ফ্ল্যাটে। যেখানে একসঙ্গে ৯ জন মানুষ শেয়ার করে থাকতে হতো। ভয়াবহ বিষয় ছিল এটাই যে, এই ৯ জনের প্রায় সবাই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। আমার ঘরেও দুটি মেয়ে থাকত। সেই সময় ভাবতাম, এ আমি কোথায় এসে পড়লাম! এখনও ভাবলে ভয় লাগে।’
নোরা আরও বলেছেন, ‘শুধু কষ্ট করে এক ফ্ল্যাটে থাকা নয়, খাবার বিষয়েও আপস করতে হয়েছে। শুধু ডিম-পাউরুটি খেয়েই কাটিয়ে দিতে হয়েছে দিনের পর দিন। তার পরও প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে গেছি। যে হিন্দি ভাষার বিন্দু-বিসর্গ জানা ছিল না, তা রপ্ত করতে হয়েছে। নৃত্যশিল্পী হিসেবে যেটুকু কাজের সুযোগ পেতাম এবং তা থেকে যা রোজগার হতো, তার বেশির ভাগই দিতে হতো ট্যালেন্ট এজেন্সিকে। সে সময় অনেকেই বলেছেন, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। প্রতিভাবানদের ভিড়ে আমি হারিয়ে যাব, কিছুই করতে পারব না। তবু হাল ছাড়িনি। লড়াই চালিয়ে গেছি। জায়গা করে নিয়েছি বিশ্বের পরিচিত তারকা দলে। সে সত্যিটাই এবার তথ্যচিত্রের মাধ্যমে দর্শকের সামনে আনতে চাই।’