অবশেষে ১১ দিন পর মোবাইলের ফোরজি সেবা চালু হতে যাচ্ছে। তবে বন্ধ থাকছে ফেসবুকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কোটা সংস্কার ইস্যুতে সহিংসতার কনটেন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) তলব করা হয়েছে।
রোববার (২৮ জুলাই) বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফোরজি নেটওয়ার্ক পুনরায় চালুর ঘোষণা দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক বলেন, ‘আজ বিকেল ৩টা নাগাদ মোবাইলে ফোরজি ইন্টারনেট পুনঃস্থাপন করা হবে। তার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা আমরা সবসময় দেব। মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোও দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।’
এ সময় ৫ জিবি ডেটা ৩ দিন মেয়াদে বোনাস হিসেবে গ্রাহকরা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যারা মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক, যাদের (নেটওয়ার্ক বন্ধ হওয়ার আগে) প্যাকেজগুলো বা ডাটাগুলো ছিল, তাদের তো ব্যক্তিগতভাবে কোনো দোষ নেই। নেটওয়ার্ক নিরবচ্ছিন্ন না থাকার কারণে তারা সে সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেননি।’
তবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ থাকবে জানিয়ে পলক বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ফেসুবক ও টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ছড়িয়ে দেয়া বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদক্ষেপ নিতে বলেছিল সরকার। এরপরও ব্যবস্থা না নেয়ায় আগামী বুধবার (৩১ জুলা) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রতিনিধিদের তলব করা হয়েছে। সে পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
পাঁচ দিন পর গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়।
এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে আবাসিক এলাকায়ও ইন্টারনেট সেবা মিলছে। তবে বন্ধ আছে ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার।