পিটার হাসের ঢাকা মিশন সফল নাকি ব্যর্থ ছিল?
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হয়ে বাংলাদেশে আসেন পেশাদার কূটনীতিক পিটার হাস। দায়িত্ব শেষ করে সম্প্রতি দেশে ফিরে গেছেন তিনি। প্রায় আড়াই বছরের ঢাকা মিশনে গণতন্ত্র, নির্বাচন, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা প্রভৃতি ইস্যুতে কথা বলা এবং বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্ত করার লক্ষ্যে ব্যস্ত ছিলেন হাস। দায়িত্ব পালনকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তার দূতিয়ালি কতটা সফল হলো তা নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী বিশ্লেষণ। বাংলাদেশি বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, হাস বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদার করার চেয়ে দেশটির রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্যতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশি চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেখানে তিনি সফল হতে পারেননি। ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিকে আমরা যুক্ত হই, এটা যুক্তরাষ্ট্র চায়। কিন্তু আমরা কখনোই সেখানকার খেলোয়াড় নই। কোয়াডে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের জন্য খাবার হচ্ছে- জিসোমিয়া আর আকসা। এ দুইটার কোনোটিই এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি। উনি আসলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা এগুলো তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে যে পর্যায়ে গেলে গ্রহণযোগ্য হয় সেখানে নিয়ে যাওয়ায় প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সেটা উনি করতে পারেননি। বরং এগুলো করতে গিয়ে সরকারের সঙ্গে তার একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তার অবস্থানকে সফল বলার সুযোগ নেই। এ কূটনীতিক মনে করেন, উনি (হাস) কূটনীতি ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় যাবেন বলে শুনেছি। এটা হয়তো ওনার চেষ্টা করার পরও না পারার একটা ফল। আমেরিকার ফরেন সার্ভিস থেকে শতকরা ১০ ভাগেরও কম অফিসার রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার হন। যারা রাষ্ট্রদূত হন তাদের অ্যাসাইনমেন্ট যদি সফল না হয় তাদের জন্য পরবর্তীতে অন্য অ্যাসাইমেন্টের সুযোগ নেই। উনি হয়তো ধরতে পেরেছেন তার দেশের সরকার এটাকে সফল অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে বিবেচনা করবে না। আরেক কূটনীতিকের ভাষ্য, বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ নিশ্চিত করা, সেটা বোয়িং বিক্রি করা হোক বা অন্যকিছু, সম্পর্ক জোরদার করার চেয়ে রাজনৈতিকভাবে তাদের যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকেই ওনার লক্ষ্য বেশি ছিল। উনি রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অর্জন করার চেষ্টা করেছেন। তার প্রধান ফোকাস ছিল যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে আমাদের গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা তাদের গ্রহণযোগ্যতার পর্যায়ে নয়। যুক্তরাষ্ট্র সেটাকে ওখানে নিয়ে যেতে চাইছে। সেজন্য তারা হয়তো সরকারকে চাপে ফেলে এটা অর্জনের চেষ্টা করেছেন। তবে সেগুলো উনি অর্জন করতে পেরেছেন বলে মনে হয়নি। সেজন্য তাকে কোনোভাবে সফল বলা যায় না। গত বছরের (২০২৩) শুরু থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সরব ছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অব্যাহত বার্তা দিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের বার্তা প্রচারে বেশ সরব হতে দেখা যায় হাসকে। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তার বেশ দূরত্ব তৈরি হয়। এ কূটনীতিক বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিকে বাংলাদেশকে যুক্ত করার জন্য তার প্রচেষ্টা ছিল। আমরা একটা ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক ঘোষণা করেছি। ওটার সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত হচ্ছি। এর বাইরে তার বলার মতো কোনো সফলতা নেই। পিটার হাসের ঢাকা মিশন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানকবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ঢাকায় দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় র্যাবের নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্কে কিছুটা অবনতি হয়। এরমধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় দায়িত্ব শেষ করে বিদায় নেন রাষ্ট্রদূত মিলার। মিলার ঢাকা ছেড়ে যাবার মাসখানেক পর নতুন দায়িত্বে আসেন পিটার হাস। তখন র্যাবের নিষেধাজ্ঞা বেশ আলোচনায়। আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণের পর পিটার ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। তখন পিটারের এসব কথাবার্তা ভালোভাবে নেওয়ার মেজাজে ছিল না ঢাকা। কেননা, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বিরক্ত ছিল ঢাকা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে নতুন রাষ্ট্রদূত অনবরত তার অগ্রাধিকার ইস্যুতে কথা বলে গেছেন। যা ঢাকার মোটেই পছন্দ ছিল না। পিটারের সময়ে বেশি আলোচনায় ছিল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। এছাড়া প্রতিরক্ষাবিষয়ক জিসোমিয়া (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট), আকসার (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) চুক্তি সইসহ বাংলাদেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং বিক্রি করার ক্ষেত্রে বেশ জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এভাবে বাংলাদেশ মিশন শেষ করতে হবে ভাবিনি। আমি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছি। দূতাবাসের সব কর্মী, আমার সহকর্মী, পরিবার, বন্ধু ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। গত বছরের (২০২৩) শুরু থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সরব ছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে অব্যাহত বার্তা দিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের বার্তা প্রচারে বেশ সরব হতে দেখা যায় হাসকে। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তার বেশ দূরত্ব তৈরি হয়। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ওয়াশিংটনের বার্তা ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন হাস। তখন রাষ্ট্রদূত হাসের গতিবিধি সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তিনি কখন, কোথায় যাচ্ছেন, কাদের সঙ্গে বসছেন এবং কী বলছেন— তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল বেশ। সফলতা এভাবে মূল্যায়ন করা যাবে না। রাষ্ট্রদূতরা তো আসেন একটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। তারা নতুন কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই জায়গায় কখনও সফল হন কখনও হন না। তাদের নিজেদের প্রচেষ্টার বাহিরেও পারিপাশ্বিক অবস্থানের সমর্থন লাগে। জিসোমিয়া বা আকসায় আমরা প্রবেশ করতে পারিনি। তবে অন্যান্য ইস্যুতে তিনি ভোকাল ছিলেন। তার সরকারের যে নীতিমালা আছে সেটাকে অগ্রসর বা সামনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো সমাবেশ করে। বিরোধী দলগুলোর সমাবেশের মধ্যেও ঢাকায় বেশ দৌড়ঝাঁপের মধ্যে ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের উদ্যোগসহ নানামুখী ভূমিকায় বেশ আলোচনায় ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তবে তফসিল ঘোষণার পরদিন হাসের হঠাৎ বিদেশযাত্রা আলোচনায় ভিন্নমাত্রা যোগ করে। সেই বিদেশযাত্রার পর থেকে ৮ জানুয়ারির নির্বাচনের আগ পর্যন্ত হাসের দৃশ্যমান কোনো কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর একেবারে নীরব ভূমিকায় দেখা যায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে। সরকার গঠনের পর প্রায় ছয় মাস ঢাকায় অবস্থান করলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের কাছে বোয়িং বিক্রি ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে সেই অর্থে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি হাসের। হাসের সময়ে বেশ কয়েকজন মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকা সফর করেছেন। ঢাকায় এর আগে, এত মার্কিন কর্মকর্তার সফর দেখা যায়নি। এছাড়া হাসের মেয়াদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, সফলতা এভাবে মূল্যায়ন করা যাবে না। রাষ্ট্রদূতরা তো আসেন একটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। তারা নতুন কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই জায়গায় কখনও সফল হন কখনও হন না। তাদের নিজেদের প্রচেষ্টার বাহিরেও পারিপাশ্বিক অবস্থানের সমর্থন লাগে। জিসোমিয়া বা আকসায় আমরা প্রবেশ করতে পারিনি। তবে অন্যান্য ইস্যুতে তিনি ভোকাল ছিলেন। তার সরকারের যে নীতিমালা আছে সেটাকে অগ্রসর বা সামনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। হুমায়ুন কবির বলেন, তার (হাস) যে লক্ষ্যমাত্রা সেটা তিনি নিজেই নির্ধারণ করেছিলেন। সেটার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি, তিনি যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন সেখানে তিনি সফলতা ওভাবে পাননি। কারণ, এই সময়টাতে বাংলাদেশে পরিবেশ এক রকম ছিল না বা নানা কারণে হয়নি। সেই জায়গায় তাকে আমরা সফলতা-ব্যর্থতার ‘মাঝামাঝি’ ছিলেন বলতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি পিটার হাসের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনাররা দায়িত্ব শেষে দেশে ফেরার আগে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ পাওয়ার রীতি রয়েছে। তবে হাসের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছে। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ঢাকা ছেড়ে যাবার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন কি না এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ চাওয়ার প্রশ্নে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনি (হাস) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে, সেটা দেখে বলতে হবে। বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস পরিস্থিতি মোকাবেলায় কারফিউ চলমান রয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেও গত ২৩ জুলাই নরওয়ের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন সরকারপ্রধানের বিদায়ী সাক্ষাৎ পেয়েছেন। এছাড়া ২৪ জুলাই মালয়েশিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিমও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ না হওয়া প্রসঙ্গে ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাসের সাক্ষাৎ হয়নি। সেটা তারা যদি না চেয়ে থাকে হয়তো তারা জেনেই চায়নি যে, দিবে না। নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বা মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার দেখা করে গেলেন আর মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করেননি, এটা অবশ্যই কারও জন্যই ভালো হয়নি। বিদায় নিয়ে আক্ষেপ পিটার হাসের গত ২৩ জুলাই ভোরে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য দূতাবাসের নিরাপত্তা বার্তা দিয়ে ঢাকা ছাড়েন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি ঢাকা ছাড়ার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকড-ইনে এক পোস্টে তার বিদায় নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। লিংকড-ইনে করা পোস্টে হাস লিখেছেন, ‘এভাবে বাংলাদেশ মিশন শেষ করতে হবে ভাবিনি। আমি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছি। দূতাবাসের সব কর্মী, আমার সহকর্মী, পরিবার, বন্ধু ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’ প্রসঙ্গত, দুই মাস আগে (মে মাসে) বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, হাস যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। তিনি একজন পেশাদার কূটনীতিক ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ। ঢাকায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পাওয়ার আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার আগে তিনি বাণিজ্য নীতি ও সমঝোতা বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |