পর্দা উঠল প্যারিস অলিম্পিকের
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() পর্দা উঠল প্যারিস অলিম্পিকের প্যারিসের সিন নদীতে জাতীয় পতাকা নিয়ে অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী দেশের অ্যাথলেটদের মার্চপাস্ট হয়। মার্চপাস্টে অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রিস ছিল শুরুতে, সবার শেষে আয়োজক দেশ ফ্রান্স। গ্রিসের পর মার্চপাস্ট করে শরণার্থী দল। তাদের হাতে ছিল অলিম্পিকের পতাকা। প্যারিস অলিম্পিকে শরণার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া ৩৭ অ্যাথলেট ছিলেন সাদা পোশাকে। এরপর একে একে অলিম্পিকে অংশ নেওয়া দেশগুলো মার্চপাস্ট করে। বাংলাদেশ থেকে এবার অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন ৫ জন অ্যাথলেট। মার্চপাস্টের সময় বোটের সামনের দিকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান আরচার সাগর ইসলাম। প্যারিস অলিম্পিকে খেলার জন্য সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেন সাগর। গতকাল উদ্বোধনী হলেও দুদিন আগেই শুরু হয় আরচারির র্যাংকিং রাউন্ড। সেখানে সাগর হন ৪৫তম। তার আগে ২৪ জুলাই পুরুষ ফুটবল ইভেন্টের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অলিম্পিকের খেলা। তবে উদ্বোধনী উপলক্ষে গতকাল কোনো খেলা ছিল না। মার্চপাস্টের ফাঁকে ফাঁকে সিন নদীর তীরে ছিল নানা রকম সাংস্কৃতিক আয়োজন। যার প্রথমেই ছিল মার্কিন সংগীতশিল্পী লেডি গাগার পরিবেশনা। এভাবে মার্চপাস্টের ফাঁকে ফাঁকে ছিল নাচ, গান, পিয়ানো শো ছাড়াও নানা আয়োজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালেও মাঝেমধ্যে হয় বৃষ্টি। সিন নদীর পাড়ে ভিজতে ভিজতেই পিয়ানোতে সুর তোলেন শিল্পী। মালি বংশোদ্ভূত ফরাসি সংগীতশিল্পী আয়া নাকামুরা পারফর্ম করেছেন। ফ্রান্সের রিপাবলিকান গার্ডের ৬০ জন সুরকার ও সামরিক বাহিনীর ৩৬ জন গায়কের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন তিনি। প্যারিসের ঐতিহাসিক ভবন গ্র্যান্ড প্যালেসের ছাদে দাঁড়িয়ে ফ্রান্সের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন ২০২৩ ভয়েস অব ওভারসিজ টেরিটরিজ জয়ী গায়িকা অ্যাক্সেলে সেইন্ট-সিরেল। প্রায় ৭ হাজারের মতো বিভিন্ন ডিসিপিস্ননের অ্যাথলেটরা ৮৫টি তরীতে চেপে অস্টারলিজ সেতু থেকে যাত্রা শুরু করে সিন নদীর ৬ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছান আইফেল টাওয়ারে। নদী ঘিরে পুরো আয়োজনের পরিকল্পনাগুলো সাজিয়েছেন বিশ্বখ্যাত নাট্যনির্মাতা থমাস জলি। ৪২ বছর বয়সী এ নির্মাতা বিশ্ব জুড়ে নন্দিত হয়েছেন তার রক-অপেরা মিউজিক্যাল ‘স্টারম্যানিয়া’র সৌজন্যে। পুরো আয়োজনটি সাজানো হয়েছিল ১২টি ভিন্ন ভাগে। উদ্বোধনী আয়োজনের তিন ভাগের দুই ভাগ হয় দিনের আলোয়। গ্রীষ্মকালের প্যারিসের চোখ জুড়ানো সূর্যাস্তের দৃশ্যও নিয়ে আসা হয় আয়োজনের মধ্যে। আর পুরো আয়োজনের সমাপ্তি হয় রাতের আঁধারে লাইট শোর মাধ্যমে। অলিম্পিকের মশাল বহনকারীদের মধ্যে ছিলেন ফুটবলার জিনেদিন জিদানও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নানা দেশের অন্তত ১০০ জন রাষ্ট্রপ্রধান এসেছেন বলে শোনা গেছে। ৩ লাখ ২৫ হাজার দর্শক এই অভিনব উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেন নদীর তীর ধরে বসে। সংগঠকরা সংখ্যাটা আরও বেশি রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে কমাতে হয়। প্যারিস অলিম্পিকে ৩২টি খেলার ৩২৯টি ইভেন্টে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবেন ১০ হাজার ৫০০ অ্যাথলেট। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |