নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন: সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.রায়হান, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইস্কান্দার মির্জা শামীম ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা শাহদাত হোসেন হৃদয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যুবদল-ছাত্রদলের নেতারা মাইজদী শহরের হাউজিং এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাচ্ছিলেন। সেখান থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে নিয়ে যায়। বিএনপি শিক্ষার্থীদের চলমান যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। ওই কারণে নোয়াখালীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমাতে সরকার পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে পুলিশ গ্রেফতার চালিয়ে নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে এই গ্রেফতারের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। তাদেরকে নোয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।