সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে অপরাধপ্রবণতা নিয়ন্ত্রণে এনেছি: রিফাত রহমান
শামীম শেখ
|
![]() সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে অপরাধপ্রবণতা নিয়ন্ত্রণে এনেছি: রিফাত রহমান নতুন সময়: আপনি গুলশান বিভাগে যোগদানের পর কি কি বিষয় পরিবর্তন এনেছেন? রিফাত রহমান শামীম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন,তা কার্যকর করার চেষ্টা করছি। স্বল্প সময়ে যেন ভিকটিম রেসপন্স পায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। ডিএমপির গুলশান বিভাগে যোগদানের পর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে দীর্ঘ মুলতবি মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা, ওয়ারেন্ট তামিলের গতিশীলতা এনেছি, ছিনতাই যাতে না হয় সে ব্যাপারে রাতের টহল জোরদার করেছি। সম্পূর্ণ বিষয়টা জবাবদিহিতার আওতায় এনেছি। পুলিশ কমিশনারের ইচ্ছে মানুষকে সেবা দেয়া, সে হিসেবে আমার আওতাধীন প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের বেসিক নিড যেমন তাদের ছুটি দেয়া, স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারা যেন কাজ করতে পারে সে ব্যাপারে মানসিক সাপোর্ট দেয়ার বিষয়ে কাজ করছি। গুলশান, বনানী ও বারিধারায় পাঁচটি সোসাইটি রয়েছে, তাদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমার আওতাধীন এলাকায় সোসাইটি, শপিংমল ও অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে যারা সিকিউরিটি হিসেবে কর্মরত আছে তাদের প্রত্যেকের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করেছি এবং তাদেরকে মনিটরিং করছি। ৩০০ ফিটসহ অন্যান্য স্থানে পূর্বে অনেক ছিনতাই এর ঘটনা ঘটতো, এখানে চেকপোস্ট জোরদার করেছি। যার কারণে অপরাধ-কর্ম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। পূর্বে আবাসিক এলাকাগুলোতে গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা প্রায় ঘটতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কারণে এখন এই অপরাধের সংখ্যা অনেকটা কম। ২০১২ সালে গুলশান বনানী এলাকা সিসিটিভির আওতায় আসে এখনো কিছু এরিয়া সিসিটিভির আওতার বাহিরে, সেই স্থানগুলো সিসিটিভির আওতায় আনার চেষ্টা চলমান। নতুন সময়: আপনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছেন কত সালে এবং বর্তমান কর্মস্থলে কতদিন যাবৎ আছেন? রিফাত রহমান শামীম: আমি ২৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৫ সালে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করি। বর্তমানে ডিএমপির গুলশান বিভাগে কর্মরত আছি। যেখানে নভেম্বর ২০২৩-এ যোগদান করেছি। নতুন সময়: পূর্বে কোথায় কোথায় কাজ করেছেন? রিফাত রহমান শামীম: ডিসি ট্রাফিক, ডিসি ডিবি গুলশান, ডিসি ডিবি মতিঝিল এবং মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব ছিলাম সাড়ে তিন বছর। নতুন সময়: আপনার এলাকায় সবচেয়ে বেশি কোন অপরাধের প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন? রিফাত রহমান শামীম: আমার আওতাধীন এলাকায় বিশেষ করে চারটি অপরাধ বেশি সংঘটিত হয় । ১. গ্রিল কেটে অ্যাপার্টমেন্ট বাসা থেকে মালামাল চুরির বিষয়ে কিছু অভিযোগ আসে। ২. সাইবার অপরাধ। ৩. ধর্ষণের কিছু অভিযোগ আসে। ৪. বনানী এবং গুলশান এলাকায় কিছু আদম অফিস ও ডেভলপারের অফিস আছে এখান থেকে অর্থ সংঘটিত বিষয়ে অভিযোগ আসে । নতুন সময়: একটি আলোচিত মামলা বা ঘটনা সম্পর্কে বলুন? রিফাত রহমান শামীম: আমি যখন মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব ছিলাম তখন সংগঠিত একটি ঘটনা আমাকে ব্যাথিত করে। একদিন ভোর ৫ টায় সময় সিঙ্গাইর থানার ওসি ফোন করে জানায় রোডের পাশে আগুনে পোড়া একটি লাশ পাওয়া গেছে।আমি তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশটার মুখম-ল সহ কিছু অংশ অক্ষত রয়েছে। আমরা অনেক জায়গায় খোঁজখবর নেই কিন্তু তাকে কেউ চেনে না। বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন করি তার একটি আঙ্গুলের ছাপ ও তার হাতে একটি আংটি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়াতে আংটির বিষয়টি প্রচার হলে তার পরিবারের একজন সদস্য এসে আত্মীয় দাবি করে। ঐদিন সাভার থানায় একটা মিসিং জিডি হয় আমরা দুইটা ঘটনা মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করি। সাভার থানায় যে জিডি করেছিল সে ওই মৃত মহিলার দ্বিতীয় স্বামী আবার তার দ্বিতীয় স্ত্রী। যে ব্যাক্তি মিসিং জিডি করেছে সে আবার হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন ও নিয়েছে। আমরা ঘটনা জানার পর অপরাধী পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করি এবং তার জবানবন্দি নেই, সে স্বীকার করে ঘটনার দিন রাতে তার সাথে ঝগড়া হয় এবং বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলে। পরবর্তীতে চাদরে মুড়িয়ে ওই নির্জন স্থানে নিয়ে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয় যাতে কোন চিহ্ন না থাকে। তার বাসার সিসিটিভি ফুটেজের ডিভাইস থেকে সব ভিডিও ডিলিট করে নদীতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ ডিভাইসটি উদ্ধার করি এবং সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করি। ঘটনাটি স্পষ্ট হয় যে সে খুন করেছে। নতুন সময়: ধন্যবাদ আপনাকে রিফাত রহমান শামীম: নতুন সময়কেও ধন্যবাদ। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |