দেশের অন্যতম শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত গাজীপুর জেলা, আর এ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লাখো মানুষের বসবাস, শিল্পনগরী হওয়ায় এর মধ্যে একটি বৃহদাংশ মানুষ বিভিন্ন পোষাক কারখানায় কাজের সুবাদে এ অঞ্চলে বসবাস করেন তবে সিটি কর্পোরেশন এলাকার টংগী থেকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক হয়ে জয়দেবপুর চৌরাস্তাঅবদি স্থানীয় ও অস্থায়ী বসবাসরত জনসাধারণের জন্যে ছিলোনা কোনও বিনোদন কেন্দ্র।
যার ফলে নিনোদন প্রেমীদের ছুটিরদিনগুলোতে বিকেলে দেখা যেতো মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে অবসর সময় কাটাতে, এসব বিনোদন প্রেমীদের "ঘাটতি পূরণে" অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আব্দুল খালেক, তিনি এসব বিনোদন প্রেমীদের কথা ভাবনায় নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নং ওয়ার্ডের ধিতপুর এলাকায় অর্থাৎ হারিক্যান বাস স্টপেজের পশ্চিমাংশে কয়েক কিলোমিটার ভিতরে পিতার পতিত তিন একরেরও অধিক জায়গা জুড়ে মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে মনোমুগ্ধকর সব রাইডে মায়ের নামে গড়ে তুলেছেন সাজেদা পার্ক।
এতে রয়েছে ছোটবড় বয়বৃদ্ধ সব বয়সী নারীপুরুষের বিনোদন প্রেমীদের ঘাঁটতি পূরণের সবরকম সুযোগ সুবিধা, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রবেশদারে নজর কারবে সেলফি তোলার ব্যাবস্থা, একটু ভেতরে প্রবেশেই নজর কারবে নানা প্রকার স্ট্যাচু, খেলাধুলার জন্যে বড় মাঠ, জলাশয় দোলনা, ক্যান্টিন বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে বসে গল্প আড্ডায় মেতে উঠার জন্যে রেস্ট নেয়ার সুবিধাসহ নানা সুযোগ সুবিধা, এতে রাখা হয়েছে শিশুদের জন্যে খেলাধুলার বিশেষ বিশেষ ব্যাবস্থা।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুইং চেয়ার রাইড, জলধারার ফুয়ারায় হ্যান্ড বোট রাইড, কির্ডস প্লে জোন, ইনডোর প্লে জোন, লুডু খেলার ব্যাবস্থা, জিপ লাইন, ট্রাম্প রাইড, কেরামবোর্ডসহ নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা, আর এ পার্কে প্রবেশ ফি ও ধরা হয়েছে জনপ্রতি নামমাত্র মূল্য ৫০টাকা, পার্কের কর্ণধার আব্দুল খালেকের সাথে কথা বলে জানা যায় ৫০টাকায় জন প্রতি প্রবেশের পর প্রায় অধিকাংশ সুযোগ সুবিধাই রাখা হয়েছে ফ্রি অফ কষ্টে।
পার্কে প্রবেশের পর কয়েকটি রাইডের জন্যে আপনাকে গুনতে হবে বার্তি সামান্ন কিছু টোকেন মূল্য। তবে এ পার্কে শিশুদের বিনোদন ঘাটতি পূরণে বিশেষ আকর্ষন হিসেবে রয়েছে ইলেক্ট্রিক বাইক রাইড, যা সকল শিশুদের নজর কেড়ে থাকে, এসকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে ঈদুল আযহায় দেখা গেছে পার্কটিতে বিনোদন প্রেমিদের উপচেপড়া ভিড়, পার্কে আসা ভ্রমণার্থীরা জানিয়েছেন তাদের আনন্দ অনূভূতিও, ভ্রমণার্থী সোহরাব হোসেন বলেন বোর্ডবাজার থেকে এসেছি কাছাকাছি এ অঞ্চলে পার্কটি হওয়ায় তারা বেশ আনন্দিত। ছোট ছোট শিশুদের চোখে মুখেও ছিলো বাঁধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ার।
কর্তৃপক্ষ জানান আগামীতে সুইমিংপুল-সহ এ পার্কে আরও কিছু রাইড সংযুক্তিকরণ ও নানামূখি উন্নয়ন ও সুন্দর্য বর্ধনে কাজ চলমান রয়েছে, এছারাও ভ্রমনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রয়েছে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ ও এক ঝাঁক নিরাপত্তা কর্মী, থাকবে অভিযোগ বক্স ভ্রমণার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে সেবার মানোন্নয়নের জন্য এ ব্যবস্থা রেখেছেন কর্তৃপক্ষ, নির্দৃষ্ট সময়সীমার মধ্যে পার্কটিতে প্রবেশের টিকিট নির্দৃষ্ট বক্সে জমা করে রেফেল ড্র এ অংশ নিয়ে মূল্যবান পুরস্কার জিতারও সুযোগ রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।