ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
সোমবার ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
যেভাবে এলো কোরবানির বিধান
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Sunday, 16 June, 2024, 12:24 PM

যেভাবে এলো কোরবানির বিধান

যেভাবে এলো কোরবানির বিধান

কোরবান আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ কাছে যাওয়া বা নৈকট্য অর্জন করা। ইসলামি ফিকহের পরিভাষায় কোরবানি হলো জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ১০ জিলহজ সকাল থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর যেকোনো একটির মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ বা ব্যবসার পণ্যের মালিক থাকেন- তার জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব হবে।


পৃথিবীর শুরু থেকে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত প্রত্যেক নবীর উম্মতের উপর কোরবানির বিধান ছিল। মহান আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি কোরবানির বিধান রেখেছিলাম, যাতে তারা উক্ত পশু জবাই করার সময় মহান আল্লাহর নাম স্মরণ করে এ জন্য যে, তিনি চতুষ্পদ জন্তু থেকে তাদের জন্য রিজিক নির্ধারণ করেছেন।’ (সুরা হজ ৩৪)

 

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা নাসাফি (রহ.) বলেন, ‘আদম (আ.) থেকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত প্রত্যেক জাতিকে মহান আল্লাহ তার নৈকট্য লাভের জন্য কোরবানির বিধান দিয়েছেন। (তাফসিরে নাসাফি ৩/৭৯)
 
আদম (আ.)-এর সময়ে কোরবানির বিধান ছিল। সর্ব প্রথম হজরত আদম (আ.)-এর দুই সন্তান কোরবানি করেন। হাবিল ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি পশু পালন করতেন। তিনি একটি উৎকৃষ্ট দুম্বা কোরবানি করলেন। আর কাবিল করতেন কৃষি কাজ। তিনি কিছু শস্য-গম ইত্যাদি কোরবানির জন্য উপস্থিত করলেন। অতঃপর আকাশ থেকে অগ্নিশিখা এসে হাবিলের কোরবানিটি ভস্মীভূত করে দিল এবং কাবিলের কোরবানি যেমন ছিল তেমনই পড়ে রইল। এভাবে হাবিলের কোরবানি কবুল হয়।
 
ইবরাহিম (আ.)-এর সময়েও ছিল কোরবানি। মুসলিম উম্মাহর জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করার মাধ্যমে দ্বিতীয় ইতিহাসের এক নতুন মাত্রা তৈরি হয়। তবে ইসলামে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর স্মরণে কোরবানি করা হয়। কেননা রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোরবানি হলো তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’
 
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর যখন সে তার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন সে বলল, হে প্রিয় বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে জবাই করছি, অতএব দেখ তোমার কী অভিমত; সে বলল, হে আমার পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। আমাকে ইনশাআল্লাহ আপনি অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।
 
অতঃপর তারা উভয়ে যখন আত্মসমর্পণ করল এবং সে তাকে কাত করে শুইয়ে দিল। তখন আমি তাকে আহ্বান করে বললাম, হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যিই পালন করলে! এভাবেই আমি সৎ কর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি।’ (সুরা আস-সাফফাত, আয়াত : ১০২-১০৫)

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status