ঈদ যাত্রায় আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে : আইজিপি
ফাহিম ফরহাদ, গাজীপুর
|
![]() ঈদ যাত্রায় আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে : আইজিপি ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে শুক্রবার (১৪জুন) বিকেলে মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় মহাসড়কে যানচলাচল ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রীফিংয়ে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শন (আইজিপি) চৌধুরি আব্দুল্লাহ আল-মামুন (বিপিএমবার, পিপিএম)। আইজিপি চালক ও পরিবহন সংশ্লীষ্টদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন যত্রতত্র পার্কিং কিংবা আইন অমান্য হয় এমন কোনও কাজ যেন চালকরা না করেন সেদিকে পরিবহন সংশ্লীষ্টদের প্রতি সচেতন থাকার অনুরোধ জানান। একই সাথে যাত্রীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন আপনারা অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কোনও পরিবহনে যেন ভ্রমন না করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন বেপরোয়া গতীতে গাড়ী না চালানোর জন্যে চালকদের অনুরোধ জানাচ্ছি। বিনা প্রয়োজনে অভারটেকিং থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান আইজিপি মামুন। চালকদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন ঈদের আগে পরে দেখা যায় খালি রাস্তা পেয়ে বেপরোয়া গতীতে দ্রুত গতীতে গাড়ী চালিয়ে থাকেন, অনেক সময় চালকরা গাড়ী না চালিয়ে সহযোগীরা (হেল্পাররা) গাড়ী চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা নির্দেশ করবো শুধু চালকরাই গাড়ী চালাবেন। যারা আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কঠোর আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অন্যান্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আশ্বাস দেন আইজিপি মামুন। এর আগে আইজিপি মামুন সরেজমিনে চৌরাস্তা এলাকায় চালকদের ১০টি নির্দেশনা উল্লেখিত লিফলেট বিতরণ করেন। এতে উল্লেখিত ছিলো ফিটনেস বিহীন ও বৈধ কাগজপত্রবিহীন গাড়ী চালানো যাবেনা, সকল প্রয়োজনীয় কাগজ সাথে রাখতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ীর দরজা বন্ধ রাখতে হবে, নির্দৃষ্ট স্টপেজ ছারা দরজা খোলা যাবেনা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করা যাবেনা। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় হর্ণ বাজানো যাবেনা। চলন্ত অবস্থায় মোবাইলে (মুঠোফোনে) কথা বলা যাবেনা। নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করে গাড়ি চালানো যাবে না। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো যাবে না। রাস্তায় অন্য গাড়ীর সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া যাবে না। যেখানে সেখানে পার্কিং না করে ট্রাফিক সংকেত মেনে চলারও নির্দেশনা দেয়া হয় ওই লিফলেটে। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ও ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের পরামর্শও দেন আইজিপি চৌধুরি আব্দুল্লাহ আল-মামুন। এসময় বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি নুরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা এবং মেট্রো পলিটন পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগের কর্মকর্তা-সহ বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |